Advertisement

Bangladesh Crisis Impact On Indian Companies: বাংলাদেশে অশান্তির প্রভাব এবার LIC-তেও, বিপাকে আরও একাধিক ভারতীয় কোম্পানি

যে সব ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে তাঁদের মধ্যে রয়েছে ম্যারিকো, ইমামি, ডাবর, এশিয়ান পেইন্টস, পিডিলাইট, গোদরেজ, সান ফার্মা, টাটা মোটরস এবং হিরো মটোকর্প। সংকট আরও বাড়লে এসব কোম্পানির ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে।

বাংলাদেশে অশান্তির জেরে বিপাকে একাধিক ভারতীয় কোম্পানি, ৭ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ LIC অফিস
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 06 Aug 2024,
  • अपडेटेड 1:00 PM IST

Bangladesh Crisis Impact On Indian Companies: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পরও বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই (Bangladesh Crisis)। বর্তমানে বাংলাদেশ সামরিক শাসনের অধীন রয়েছে। নতুন সরকার এখনও গঠন হয়নি। সেখানকার পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে। নতুন করে হিংসার ঘটনা সামনে আসছে নানা জায়গা থেকে। এমন অবস্থায় বাংলাদেশে লগ্নি করা ভারতীয় কোম্পানিগুলোর (Indian Companies in Bangladesh) ব্যবসা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। ডাবর থেকে ট্রেন্ট (Dabur Trent) পর্যন্ত অনেক ভারতীয় কোম্পানি, বাংলাদেশের বাজারে সাপ্লাই চেইন হিসেবে প্রচুর টাকা লগ্নি রয়েছে।

যে সব ভারতীয় কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে তাঁদের মধ্যে রয়েছে ম্যারিকো, ইমামি, ডাবর, এশিয়ান পেইন্টস, পিডিলাইট, গোদরেজ, সান ফার্মা, টাটা মোটরস এবং হিরো মটোকর্প। সংকট আরও বাড়লে এসব কোম্পানির ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়বে।

টেক্সটাইল শিল্পের জন্য উপকারী 
বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে ভারতের বস্ত্র খাতের জন্য এটি একটি সুযোগ হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের টেক্সটাইল কেন্দ্র তিরুপুর অর্ডারে ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আমেরিকা ও ইউরোপের বড় ব্র্যান্ডগুলোর আস্থা ভারতের প্রতি বাড়তে পারে, যা ভারতীয় বস্ত্র শিল্পের জন্য লাভজনক হবে।

কোন কোম্পানি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
১. ভিআইপি লাগেজ প্রস্তুতকারকের বাংলাদেশে 8টি উত্পাদন ইউনিট রয়েছে এবং এর ক্ষমতার প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ এখান থেকে আসে। এই অবস্থায় প্রোডাকশন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে পারে, যা কোম্পানির মুনাফায় প্রভাব ফেলতে পারে।

২. মারিকো আন্তর্জাতিক মার্কেটে অন্যতম কোম্পানি, যা মোট আয়ের এক চতুর্থাংশেরও বেশি। ম্যারিকোর আন্তর্জাতিক আয়ের প্রায় ৪৪% আসে বাংলাদেশ থেকে।

৩. ডাবর, জিসিপিএল এবং ব্রিটানিয়া হল বড় এফএমসিজি কোম্পানি। কোম্পানিগুলির রাজস্বের ৫০ শতাংশের বেশি আসে এখান থেকে। এমন পরিস্থিতিতে এসব কোম্পানির রাজস্বও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

Advertisement

৪. জুবিল্যান্ট ফুডওয়ার্কস দ্য ডোমিনো'স অপারেটরের বাংলাদেশে ২৮টি স্টোর রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ব্যবসাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

৫. হংকং এবং থাইল্যান্ডের সাথে টাটা গ্রুপের কোম্পানি ট্রেন্টের সোর্সিংয়ের জন্য বাংলাদেশ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।

৬. টাটা গ্রুপ এখান থেকে বড় ব্যবসা পায়। জামাকাপড় থেকে শুরু করে গাড়ি সহ অন্যান্য ব্যবসায় ভালো আয় হয়, যার প্রভাব এখন কোম্পানিগুলোর মুনাফায় দেখা যাতে পারে। 

LIC বন্ধ অফিস
বাংলাদেশে সংকটের মধ্যে এশিয়ার বৃহত্তম বিমা কোম্পানি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এলআইসি) বাংলাদেশে তাদের অফিস আগামী ৭ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ রেখেছে। "বাংলাদেশে চলমান সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে, LIC অফ বাংলাদেশ লিমিটেডের অফিস ০৫ অগাস্ট ২০২৪ থেকে ০৭ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে," LIC একটি নিয়ন্ত্রক ফাইলিংয়ে বলেছে৷

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement