প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আগামী ৭ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচন। তার আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, তিনি টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় ফিরলে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে বয়কট করবেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে দলের ইস্তাহার প্রকাশের সময় শেখ হাসিনা বলেন, 'আবারও আমাদের সেবা করার সুযোগ দিন। আপনারা আমাদের ভোট দিলে আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব। তিনি বলেন, আমরা জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিই তা পূরণে বিশ্বাসী।'
স্মার্ট বাংলাদেশ কী?
আওয়ামি লিগ ইস্তাহারে জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য আমাদের স্লোগান স্মার্ট বাংলাদেশ: সেখানে উল্লেখ, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরলে উন্নয়ন হবে। বাংলাদেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। দেশকে স্মার্ট গড়ার জন্য ১১টি জিনিসকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম আধুনিক, প্রযুক্তি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা। দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতেও বরাদ্দ বাড়বে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, '২০০৮ সালের নির্বাচনী ইস্তাহারে আমরা রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিলাম। সেখান থেকেই পরিবর্তনের সূচনা। এত বছর ধরে আমরা চমৎকারভাবে সরকার পরিচালনা করেছি।' ইস্তাহার প্রকাশকালে শেখ হাসিনা বিরোধী দলের সমালোচনা করে বলেন, 'যখনই নির্বাচন আসে তখনই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিরোধী ও উন্নয়নবিরোধী মহল সক্রিয় হয়ে ওঠে। প্রতিবারই নির্বাচনের আগে বিরোধীরা দেশবিরোধী বক্তব্য দিতে থাকে।'
১০৮ পাতার নির্বাচনী ইস্তাহারে ভারতের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার উপরেও জোর দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো, আন্তঃসীমান্ত সংযোগ, শক্তির অংশীদারিত্ব এবং ন্যায়সঙ্গত জল বণ্টনের মতো ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করার নীতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে এই ইস্তাহারে। তাতে বলা হয়েছে, সরকার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতা অব্যহত রাখবে।
এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেছে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সভাপতি খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি গত ২৯ অক্টোবর থেকে সারাদেশে বিক্ষোভ করছে। এই সরকার বিরোধী বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৮৬টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।