Advertisement

Bangladesh Elections: ভোটটা আসলে কারা চাইছে না? NCP-জামাতরা তো 'মুখোশ' মাত্র, বাংলাদেশে 'গেম অন'

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট হবে। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারও ভোটের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু এখানেই খেলা। প্রশ্ন উঠছে, ভোট করার জন্য প্রস্তুতির কথা বললেও, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জামাতকে দিয়ে বিরোধিতা করানোর গেম প্ল্যান ছকছেন ইউনূস?

বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে সংশয়বাংলাদেশে নির্বাচন ঘিরে সংশয়
অরিন্দম গুপ্ত
  • কলকাতা,
  • 20 Aug 2025,
  • अपडेटेड 2:10 PM IST
  • NCP, জামাতকে সামনে রেখে 'খেলছেন' ইউনূস?
  • নির্বাচন ঘিরে আবার সংশয়
  • দুই দলই এখন বিএনপি-কে রুখতে চাইছে

সত্য সেলুকাস! কী বিচিত্র বাংলাদেশ! বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আদৌ হবে? নাকি পুরোটাই 'আইওয়াশ গেম'? শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে অরাজকতার চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের একটি বড় অংশের জনতা যখন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করছেন, তখন দেখা যাচ্ছে, জামাত ই ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অন্য খেলা খেলছে। 

NCP, জামাতকে সামনে রেখে 'খেলছেন' ইউনূস?

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ভোট হবে। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারও ভোটের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু এখানেই খেলা। প্রশ্ন উঠছে, ভোট করার জন্য প্রস্তুতির কথা বললেও, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জামাতকে দিয়ে বিরোধিতা করানোর গেম প্ল্যান ছকছেন ইউনূস? যাতে আরও ক্ষমতায় থাকা যায় বিনা ভোটে। আসলে বাংলাদেশে আওয়ামী লিগের যে জনপ্রিয়তা এখনও অটুট, তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছিলেন ইউনূস, সেই কারণে আগেই শেখ হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়ে পথের কাঁটা সরিয়ে ফেলেছেন। এবার জামাত ও এনসিপি-কে দিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার নোংরা খেলায় মেতেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা BNP কি এই খেলায় ইউনূসকে জিততে দেবে? খালেদা জিয়া তো আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নই দেখছেন। ভোট হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সংশয় চললেও, বিএনপি আগেভাগেই ঘোষণা করে দিয়েছে, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে লড়বেন।

নির্বাচন ঘিরে আবার সংশয়

সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র খবর অনুযায়ী, নির্বাচন ভন্ডুল করতে ঠিক দাবি শুরু করেছে এনসিপি ও জামাত? দেখা যাচ্ছে, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পদ্ধতি সহ একাধিক শর্ত দিয়ে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা শুরু করে দিয়েছে জামাত ও এনসিপি। ওদিকে বিএনপি চাইছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হোক। সব মিলিয়ে আবার সংশয়। বাংলাদেশের রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে এটাও শোনা যাচ্ছে, শর্ত না মিটলে ভোট বর্জনের পথেও হাঁটতে পারে এনসিপি ও জামাত। 

Advertisement

এই NCP আসলে ইউনূসেরই মদতপুষ্ট 

জামাত ও এনসিপি-র নেতাদের বক্তব্য, বাংলাদেশের সংস্কার ও আওয়ামী লিগের নেতাদের বিচারের বিষয়টি এড়িয়ে কোনও রকমে একটি নির্বাচন করাতে চেষ্টা করছে ইউনূসের সরকার। বস্তুত, গত বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে যে খুনোখুনি, গুণ্ডামি হয়েছিল, তাতে প্রত্যক্ষ ভাবে মদত দিয়েছিল কট্টরপন্থী সংগঠন জামাত ই ইসলামি। হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ থাকা জঙ্গি সংগঠন জামাত আবার ইউনূসের 'নয়নের মণি'। ফলে হাসিনা সরকারের পতন হতেই জামাতের নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। আবার তথাকথিত বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের সেই ছাত্ররা মিলে তৈরি করেছে  NCP। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই NCP আসলে ইউনূসেরই মদতপুষ্ট একটি দল। 

দুই দলই এখন বিএনপি-কে রুখতে চাইছে

গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লিগ সরকারের পতনের বর্ষপূর্তিতে ঢাকায় জুলাই ঘোষণাপত্র ও সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। ইউনূসের ঘোষণাকে আসলে 'সাজানো' বলে অভিযোগ করছে জামাত। প্রশ্ন উঠছে, জামায়াত ও এনসিপি এখন যেসব শর্ত সামনে এনে আন্দোলনে নামার কথা বলছে, তারা তাদের শর্ত বা দাবি আদায়ে কতদূর যেতে পারে, তারা কি নির্বাচন বর্জনের মতো অবস্থানে যেতে পারে? ইতিমধ্যেই তারা রাজপথে নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিচ্ছে। 

বস্তুত, এই দুই দলই এখন বিএনপি-কে রুখতে চাইছে। কারণ, হাসিনার আওয়ামী লিগের পরে যদি কোনও দলের জনসমর্থন থাকে বাংলাদেশে, তা হল খালেদা জিয়ার বিএনপি। ওদিকে এনসিপি একেবারেই নতুন দল। নির্বাচন হলে ইউনূসের গদিও চলে যাবে। সব মিলিয়ে এখন এরা টার্গেট করছে, কীভাবে ভোটটা বানচাল করা যায়। 

-- সমাপ্ত --

Read more!
Advertisement
Advertisement