বাংলাদেশের গতবারের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। কাঠগড়ায় ছিল বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লিগ। শেখ হাসিনার সরকারের জমানায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। বিএনপি-সহ বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হতে চায় না। এবার বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করানোর জন্য বড় পদক্ষেপ করল সে দেশের নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাফ জানালেন, একটি ভোটও কারচুপির চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে।
শনিবার বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে বিরোধী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ভোট করতে সহযোগিতা চান তিনি। এর পাশাপাশি কঠোরভাবে আচরণবিধি মেনে চলার কথাও বলেছেন। কাজি হাবিবুল আউয়াল স্পষ্ট করে দিয়েছেন,'ভোটের মাঠে অনিয়ম করব, এমন মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।'
আউয়াল বলেন, 'রিটার্নিং অফিসাররা ফল বদলাতে পারেন না। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ফল ঘোষণা হয়। প্রার্থীরা ঘরে বসেই জানতে পারবেন ভোটের ফল। নির্বাচন প্রক্রিয়ার উপর আস্থা রাখতে হবে। ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে সবপক্ষকে।'
বাংলাদেশের ভোট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল প্রশ্ন তুলেছে। সেটা যে চাপ বাড়িয়েছে সে দেশের নির্বাচন কমিশনের, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আউয়ালের কথায়। তিনি মনে করিয়ে দেন,'নানা কারণে এবার ভোট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। আমাদের দেশকে নিয়ে কথা বলছে অন্যরা। অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট চাইছে তারা।'