বাংলাদেশে অরাজকতা তো চলছেই, সঙ্গে একনায়কতন্ত্রও। ওদিকে আবার ইসলামের কট্টরপন্থীদের স্বর্ণযুগ। সব মিলিয়ে কোরানের ভাষায় 'জাহান্নাম'এ পরিণত হয়েছে শেখ মুজিবুরের স্বপ্নের বাংলাদেশ। তার একটি উদাহরণ হল, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে দেওয়া হবে না দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। হাসিনার জাতীয় পরিচয়পত্র লক করে দিল বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লিগকে তো আগেই ব্যান করে ভোটযুদ্ধ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এবার হাসিনা নিজের দেশে ভোটটাও দিতে পারবেন না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরম নিদর্শন অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকারের।
হাসিনার পরিবারের কেউ বাংলাদেশে ভোট দিতে পারবেন না
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। আওয়ামী লিগ ছাড়াই নির্বাচন হতে চলেছে বাংলাদেশে। তাই একে প্রহসন বললেও অত্যুক্তি হয় না। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদের কথায়, 'কোনও ব্যক্তির ন্যাশনাল আইডেন্টিটি কার্ড লক করা হলে, তিনি দেশে তো দূর, বিদেশ থেকেও ভোট দিতে পারবেন না।' যদিও হাসিনার নাম করেননি তিনি। বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'ঢাকা ট্রিবিউন'কে নির্বাচন কমিশনের এক অফিসার জানিয়েছেন, শুধু শেখ হাসিনাই নন, তাঁর বোন শেখ রেহানা, ছেলে সাজিদ ওয়াজিদ জয় ও কন্যা সাইমা ওয়াজিদ পুতুলের ন্যাশনাল আই কার্ডও লক করে দেওয়া হয়েছে। যার নির্যাস, হাসিনার পরিবারের কেউ বাংলাদেশে ভোট দিতে পারবেন না।
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সচল থাকলে ভোট দেওয়ার অধিকার
শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও ভাইপো রদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, তাঁর শ্যালক ও হাসিনার প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল তারেক আহমেদ সিদ্দিক, তাঁর স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক এবং তাঁদের মেয়ে বুশরা সিদ্দিকও ভোট দিতে পারবেন না। তবে আহমেদ বলেছেন, যাঁরা বিচার এড়িয়ে বা অন্য কোনও কারণে বিদেশে গিয়েছেন, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সচল থাকলে ভোট দেওয়ার অধিকার থাকবে।
কট্টরপন্থীদের সংগঠনগুলি একজোট হচ্ছে বাংলাদেশে
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমেই হাসিনার দল আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করে রাজনৈতিক ময়দান থেকে সরিয়ে দিয়েছে। আসলে বাংলাদেশে আওয়ামী লিগের জনপ্রিয়তা যাতে কাঁটা না হয়ে দাঁড়ায়, তাই আগেভাগেই পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার উপর সাম্প্রতিক খবর হল, জামাত ই ইসলামি ভোটে লড়তে সব কট্টরপন্থীদের সংগঠনগুলি একজোট হচ্ছে বাংলাদেশে। অর্থাত্ শরিয়ত আইন লাগু করে বাংলাদেশকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত।