বাংলাদেশের নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মহম্মদ ইউনূসকে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান করার পর শোনা গিয়েছিল শীঘ্রই বাংলাদেশে ভোট হবে। তবে তারপর কেটে গেছে ৮ মাস। আগামিকাল বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ঠিক তার আগে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করলেন ইউনূস।
ইউনূস বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, আবারও বলব, এই বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমরা চাই, আগামী নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। আশা করি রাজনৈতিক দলগুলো ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করবে।'
গত বছরের ৫ আগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশের অবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কয়েকদিনে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মহম্মদ ইউনূসের দেশে। অভ্যুত্থান হতে পারে, এমন সন্দেহের বাতাবরণও তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে সেনাবাহিনী। এদিকে কাল যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে স্বাধিীনতা দিবস পালিত হবে। জানিয়েছেবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকার। এমনটাই মনে করছেন সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের ব্যারাকে ফিরে যেতে চান। সেজন্য সেনাবাহিনী যে দায়িত্ব পালন করার তা পালন করছে।
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেখানে আগামী দিনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার জেরে সেনাবাহিনীও সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জরুরি বৈঠক করেছে। সেই বৈঠকে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। সেই বৈঠক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
যদিও বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের তরফে সেনার একাধিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ওই বৈঠকে দেশে ভুল তথ্য এবং গুজব ছড়ানো নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন সেনা প্রধান ওয়াকার-উজ জামান। একই সঙ্গে সেনাকর্তাদের ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি সামলানোর ডাক দেন।
গত বছরের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করা হয়। মাত্র কয়েক মাসের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হন তিনি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে বলে দাবি করা হলেও আট মাস পার হলেও নির্বাচন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ক্রমাগত ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
এদিকে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। বুধবার তা যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে পালিত হবে বলে জানাল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে গিয়েছিল। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।