Advertisement

Bangladesh News: হাসিনার আবার কারাদণ্ড, জেল টিউলিপেরও, BDR বিদ্রোহেও ভারতের 'হাত' দেখছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় শেখ হাসিনাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে হাসিনার বোন শেখ রেহানার ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকিকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য ১৪ জন অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

ফের বিপাকে হাসিনা, কারাদণ্ড টিউলিপেরওফের বিপাকে হাসিনা, কারাদণ্ড টিউলিপেরও
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 01 Dec 2025,
  • अपडेटेड 12:09 PM IST

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা। ঢাকার পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায়  শেখ হাসিনাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেইসঙ্গে হাসিনার বোন শেখ রেহানার ৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকিকে ২ বছরের  কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য ১৪ জন অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

এদিকে ১৬ বছর আগে ঘটে যাওয়া বিডিআর বিদ্রোহের দায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপরই চাপানো হল। বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বিদ্রোহের তদন্তের জন্য গঠিত কমিশন দাবি করেছে যে, ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে এই বিদ্রোহের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এছাড়াও ওই বিদ্রোহের নেপথ্যে ভারতের ইন্ধনের কথাও তুলে ধরেছে।  বাংলাদেশ সেনার সদর দফতরে ১৬ বছর আগের হত্যাকাণ্ডে ভারতের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের তৈরি তদন্ত কমিশন। ১১ মাস ধরে তদন্ত করে রবিবার তারা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। 

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেল্‌স-এর সদর দফতরে নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল। সেনার ৫৭ জন কর্তা নিহত হয়েছিলেন। ইউনূসের তদন্ত কমিশনের দাবি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবুজ সঙ্কেতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সঙ্গে যোগ রয়েছে ভারতেরও। প্রসঙ্গত,  নভেম্বর মাসে মানবতা বিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সেদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গত বছর হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন বিডি আর বিদ্রোহের কারণ খতিয়ে দেখতে কমিশন গঠন করে। ২০০৯ সালে ঢাকায় শুরু হওয়া এবং দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বিদ্রোহে ৭৪ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাও।

Advertisement

কমিশনের প্রধান আলম ফজলুর রহমান অভিযোগ করেন যে, তৎকালীন আওয়ামী লিগ সরকার বিদ্রোহের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। তিনি প্রাক্তন সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপসকে ওই বিদ্রোহের 'প্রধান সমন্বয়কারী' হিসেবে অভিহিত করেন এবং দাবি করেন যে- তাপস হাসিনার 'ইশারায়' কাজ করেছিলেন। হাসিনা ওই হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য 'সবুজ সংকেত' দিয়েছিলেন।

ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
সরকারের প্রেস অফিস থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের রহমানের সারসংক্ষেপে ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহে একটি অজ্ঞাত বিদেশি শক্তির জড়িত থাকার অভিযোগও করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, 'তদন্তে একটি বিদেশি শক্তির জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট।' বাংলাদেশের  সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতি অনুসারে রহমান বলেছেন, 'ষড়যন্ত্রের লক্ষ্য ছিল এই বাহিনীকে দুর্বল করা এবং বাংলাদেশকে অস্থির করে তোলা। বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর, সরকার তার ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চেয়েছিল, এবং প্রতিবেশী দেশ (ভারত) বাংলাদেশকে অস্থির করতে চেয়েছিল।' যে প্রতিবেশী দেশটির কথা উল্লেখ করছেন তা স্পষ্ট করার জন্য চাপ দেওয়া হলে, কমিশনের প্রধান আলম ফজলুর রহমান বলেন যে- সেটি ভারত। রিপোর্টে উল্লেখ, 'সেই সময়ে প্রায় ৯২১ জন ভারতীয়, বাংলাদেশে এসেছিলেন। এই ভারতীয়দের মধ্যে ৬৭ জনের অবস্থান অজানা।' ওই ঘটনায় ভারতের জড়িত থাকার প্রমাণ হিসাবে যা বড় ইঙ্গিত। ইউনূস কমিশনের অনুসন্ধানকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'কমিশনের প্রতিবেদনের মাধ্যমে, অবশেষে সত্য প্রকাশ পেয়েছে।'

Read more!
Advertisement
Advertisement