বাংলাদেশের অচলাবস্থা যেন কাটছে না। এবার সেই দেশ থেকে ছদ্মবেশে থাইল্যান্ড পালালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ। লুঙ্গি পরে রাত তিনটের সময় তিনি ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছন। সেখান থেকে বিমানে চড়ে রওনা দেন থাইল্যান্ড।
এদিকে সকালে এই খবর সামনে আসার পর হইচই শুরু হয়ে যায়। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে কীভাবে পালালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইউনূস সরকারের অন্দরেই। ইতিমধ্যেই একাধিক অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোর্টে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বাংলাদেশে অগাস্ট আন্দোলনের সময় হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে সেই দেশের অন্তর্বতী সরকার। সেই মামলাতে নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিরও।
২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন হামিদ। ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হামিদের বিরুদ্ধে গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। এই মামলাতে অভিযুক্তদের তালিকায় নাম রয়েছে হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। প্রাক্তন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে দাবি, মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বতীকালীন সরকার হামিদের দেশ ছেড়ে পালানোর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে হামিদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাই এবং ভগ্নিপতির সঙ্গে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গিয়েছেন। যদিও পুলিশের সূত্রের দাবি, সরকারের শাস্তির হাত থেকে বাঁচতেই দেশ থেকে পালিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের একাংশের আবার দাবি, সরকারের অভ্যন্তরেরই কোনও কোনও ব্যক্তি হামিদকে পালানোর ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন।