বাংলাদেশ আবারও নিজের আসল রূপ দেখাতে শুরু করেছে। সামনে থেকে বন্ধুত্বের ভান, আর পেছনে বসে ভারতের ভূমি আঁকড়ে নেওয়ার স্বপ্ন—এটাই আজকের বাংলাদেশের নয়া কূটচাল। 'গ্রেটার বাংলা','সুলতানেট বাংলা' নাম দিয়ে এখন বাংলাদেশের কিছু চক্র মানচিত্রে ভারতের একাধিক রাজ্যকে নিজেদের বলে দাবি করছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য, এমনকি বিহার-ঝাড়খণ্ডকেও এই কাল্পনিক মানচিত্রে ঢুকিয়ে দিচ্ছে তারা।
এ তো নিছক ভুল নয়, বরং ষড়যন্ত্র—চরম স্বার্থপরতা আর মগজ ধোলাইয়ের সংমিশ্রণ। ভারতের বিদেশনীতি বিশ্লেষক রবিন্দর সচদেব সাফ বলেছেন, 'বাংলাদেশ যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে ভারতের তরফে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে।' এখন প্রশ্ন, বাংলাদেশ আদৌ আর কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেশী কিনা।
বাংলাদেশ যা করছে, তা একপ্রকার ‘ছায়া যুদ্ধ’
ভারতের সঙ্গে হাজারো সাংস্কৃতিক যোগ থাকলেও, এখন বাংলাদেশ যেন পাকিস্তানের ‘নতুন সংস্করণ’। একদিকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন, তার সুযোগে বাংলাদেশ চুপিসারে ভারতের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে চাইছে। শুধু রাজনীতি নয়, অর্থনীতিতেও তারা চালাচ্ছে নির্লজ্জ দ্বিচারিতা। ভারতের বাজারকে নিজেদের ‘বন্দে বাজার’ বানিয়ে ফেলেছিল তারা। উত্তর-পূর্ব ভারতের ছোট ছোট শহরগুলিতে ঢুকিয়ে দিচ্ছিল প্লাস্টিক, তৈরি পোশাক, কার্বনেটেড ড্রিংকস, রকমারি ভোগ্যপণ্য—কিন্তু ভারতের চাল, সুতা, কটন ইয়ার্নের রফতানিতে তারা বসিয়ে দিচ্ছিল কড়া বিধিনিষেধ। এমনকি ভারতীয় পণ্যে বাড়িয়ে দিচ্ছিল ‘বিশেষ চেকিং’।
যার ফল? দিল্লির তরফে কড়া জবাব। এখন থেকে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকসহ বহু পণ্য কেবল কলকাতা ও নাভা শেভা বন্দর দিয়েই ঢুকতে পারবে। সীমান্ত পথে নয়। সীমান্তে ১১টি ল্যান্ড পোর্ট দিয়ে এতদিন অবাধে আমদানি চললেও, এবার সেই খেলায় লাগাম পড়ল। মুখের ওপর সপাটে ‘না’ বলেছে ভারত।
‘বন্ধুত্বের মুখোশ’ ছিঁড়ে দিল ভারত
ভারত এতদিন বন্ধুত্বের নামে বাংলাদেশের সব আবদার মেনে নিচ্ছিল। কিন্তু ঢাকার আচরণ দিনকে দিন কুরুচিকর হয়ে উঠেছে। নিজেদের অর্থনীতি যখন চূড়ান্ত টালমাটাল, তখন ভারতের বাজার আঁকড়ে ধরার মরিয়া চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। অথচ ভারতীয় পণ্যে কড়া নজর, আমদানি খরচ বাড়ানো, এবং ঢাকার বাজারে ভারতের প্রবেশ আটকে দেওয়ার মতো পদক্ষেপ তারা একের পর এক নিচ্ছে। ভারতের অবস্থান এবার স্পষ্ট—বন্ধুত্ব চলবে সমান শর্তে। বাংলাদেশ যদি নিজেদের ‘ভ্রাতৃত্ব’ দেখাতে না জানে, তবে ভারতও এবার তার আসল হিসেব বুঝিয়ে দেবে। বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাংলাদেশ যেভাবে নিজেদের ‘ক্যাপটিভ মার্কেট’ মনে করেছিল, এবার সেই ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে চুরমার হবে।
BIMSTEC-এর মর্যাদা বুঝুক বাংলাদেশ
বাংলাদেশকে বুঝতে হবে—উত্তর-পূর্ব ভারত শুধু একটি বাজার নয়, এটি ভারতীয় উন্নয়নের গেটওয়ে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই BIMSTEC অঞ্চলে পূর্বাঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়েছেন। আর সেই অঞ্চলকে যদি কেউ নিজের পকেট ভেবে নেয়, তাহলে এবার ভারতের তরফে জবাব দেওয়া হবে দ্বিগুণ কঠোরতায়।
বাংলাদেশ যতই 'ভাইভাই' বলুক, ভিতরে ভিতরে চলছে এক ঘৃণ্য খেলা। মানচিত্রে ভারতের অংশকে নিজেদের বলে দাবি করা, সীমান্ত বাণিজ্যে নিজেদের স্বার্থে নিয়ম তৈরি করা—এই সব ‘বদমাইশি’ আর চলবে না। এবার ভারত বুঝিয়ে দিল, যে ‘বন্ধুত্ব’ শুধুই একপাক্ষিক, তার জবাব হিসেবেই আসে। বাংলাদেশের এখন সময় এসেছে আয়নায় নিজের মুখ দেখার। আর ভারত? ভারত এবার নিজের শর্তে খেলবে।