ফের জামিন খারিজ হয়ে গেল বাংলাদেশের হিন্দু সন্ন্য়াসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের। আজ বাংলাদেশ হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। তা খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু কেন চিন্ময়কৃষ্ণকে জামিন দেওয়া হবে না, তা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হলফনামা তলব করল হাইকোর্ট।
আজ বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো.আলি রেজারের বেঞ্চে জামিন মামলার শুনানি হয়। বেঞ্চের তরফে খারিজ করা হয় জামিন। চিন্ময় কৃষ্ণের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ হাজির ছিলেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। এই হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য সরকারকে ২ সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত।
বাংলাদেশের কারাগারে প্রায় ২ মাসেরও বেশি ধরে বন্দি সেখানকার হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেছে সেই দেশের সরকার। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেফতার হন চিন্ময়কৃষ্ণ। পরের দিনই আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেদিন আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
সেদিন ওই সন্ন্যাসীর জামিন মঞ্জুর না হওয়ায় আদালত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছিল। তবে চিন্ময়ের কোনও আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন ধার্য রাখেন। সেদিনও জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। তারপর হাইকোর্টে আবেদন করা হয় চিন্ময়ের তরফে। কিন্তু সেখানেও জামিন মঞ্জুর করা হল না।