বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর একের পর এক নির্যাতনের প্রতিবাদে সরব হচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন শিল্পপতি বিনোদ খোসলাকে নিশানা করলেন ইনফোসিসের প্রাক্তন সিইও মোহনদাস পাই। আসলে এই খোসলা মহম্মদ ইউনূসকে নিজের বন্ধু বলে দাবি করেছিলেন নেট মাধ্যমে। এক্স হ্যান্ডেলে সেই পুরনো লেখা তুলে ধরেই খোসলাকে নিশানা করেছেন পাই।
মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর বিনোদ খোসলা এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন,'বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে চলেছেন মহম্মদ। দুর্দান্ত! আমি ওঁর বড় ভক্ত'। সেই লেখাটি তুলেই মোহনদাস পাইয়ের বক্তব্য,বিনোদ খোসলা নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে হিন্দুদের গণহত্যা নিয়ে একটি কথাও বলেননি। পাই লিখেছেন,'আপনি কি আপনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলবেন? রাস্তায় প্রকাশ্যে হিন্দুদের মারধর করছে, হত্যা করছে জিহাদিরা। আর এদিকে আপনার মতো লোকেরা ইউনূসের প্রশংসা করছেন। দয়া করে মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ান'।
বলে রাখি, ৭ অগাস্ট খোসলা শেখ হাসিনার সরকারের পতনের সমর্থক ছিলেন এই বিনোদ খোসলা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে মহম্মদ ইউনূসের নিয়োগেও খুশি হয়েছিলেন। অথচ এখন হিন্দুদের উপর নির্যাচন চললেও বিনোদ খোসলার তরফে কোনও বক্তব্য এল না।
দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব হন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তাঁকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম পুলিশ। সেই গ্রেফতারির পর হিন্দুরা প্রতিবাদ করে। নিরীহ হিন্দুদের উপর হামলা চালায় বিএনপি ও জামাতের লোকেরা। আহত হন অন্তত ৫০ জন হিন্দু।
চিন্ময় প্রভু ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের নেতা। ইসকন চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি। চিন্ময় প্রভু নামেও লোকে তাঁকে চেনে। তিনি বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ করেছেন। বাংলাদেশে ইসকনের ৭৭টিরও বেশি মন্দির রয়েছে। ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।