
বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদি খুনের ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে সরকারের পতন আসন্ন। কার্যত এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হল মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে। সোমবার বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে ইনকিলাব মঞ্চ। তাদেরই নেতা আব্দুল্লাহ আল জাবের এই হুঁশিয়ারি দেন।
ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর চাউর হওয়ার পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। জায়গায়, জায়গায় ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছে প্রায় দিন। হাদির শেষকৃত্যের পর ইনকিলাব মঞ্চের তরফে সরকারকে টাইল লাইন বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সোমবারও সেই ঝাঁঝ বজায় রাখলেন ওই দলের নেতারা। দেশবাসীকে শান্তিরবার্তা দিলেও ইউনূস যে বারুদের স্তূপে বসে রয়েছেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মত আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের আরও দাবি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি যে কোনও দিন সরকারের হাতের বাইরে যেতে পারে। কারণ, ইউনূস যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় বসেছিলেন তার বেশিরভাগই পূরণ করতে পারেননি। আবার, সামনেই নির্বাচন। হাদির খুনের কারণে যদি নির্বাচন পিছিয়ে যায়, তাহলে তা মেনে নেবে না রাজনৈতিক দলগুলো। সেক্ষেত্রে ফের গণ অভ্যুত্থান হতে পারে।
এদিন ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা বলেন, 'বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যদি আপনি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে না পারেন, তাহলে একবার জনগণ রক্তপাত শুরু করলে, তা থামানো যাবে না। যদি জনগণের করের টাকায় পরিচালিত গোয়েন্দা সংস্থাগুলি খুনিদের শনাক্ত করতে না পারে, তাহলে কীসের সরকার?'
আব্দুল্লাহ আল জাবের আরও বলেন, 'হাদি ভাইয়ের খুনীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। না হলে বাংলাদেশের যে কোনও পরিস্থিতির জন্য এই সরকারকেই দায় নিতে হবে। তবে সরকার বলতে শুধু প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস নন। ৫ অগাস্টের পর সব রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সবাই মিলে দায়িত্ব নিয়েছে। তারাই সরকার চালাচ্ছে। তাই তাদের সবাইকে দায় নিতে হবে।'
এদিকে হাদির খুনীদের গ্রেফতারের দাবি করা হলেও বাংলাদেশের পুলিশের বিশেষ শাখা এবং গোয়েন্দা বিভাগ স্বীকার করেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে তাদের কাছে কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তারা নিশ্চিত করেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি সীমান্ত অতিক্রম করেছে, এমনও কোনও প্রমাণ নেই।