
এবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বতীকালীন সরকারের। সোমবারই শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে সেই দেশের আদালত। তারপরই সরকারের তরফে এই মর্মে সতর্কবার্তা দেওয়া হয় যে, বাংলাদেশের কোনও সংবাদমাধ্যম হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ করতে পারবে না। ইলেকট্রনিক্স, ডিজিটাল ও খবরের কাগজ- সব ধরনের গণমাধ্যমকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে এমনিতেই হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে কার্যত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক কাজ করার অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে আদালত ও সরকার। মহম্মদ ইউনূস নিজেও জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু মুজিবুরের দল আগামী জাতীয় নির্বচনে অংশ নিতে পারবে না। এরই মধ্যে হাসিনার খবর প্রকাশ প্রকাশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করল সরকার।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে প্রকাশ, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা এক প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে, হাসিনার বক্তব্য সামনে এলে হিংসা ছড়িযয়ে পড়তে পারে দেশে। বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়তে পারে, বাড়তে পারে অপরাধমূলক কাজকর্ম। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, 'আমরা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার জন্য গণমাধ্যমকে আহ্বান জানাচ্ছি। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক হাসিনার খবর প্রকাশ করেছে একাধিক গণমাধ্যম। সেজন্য আমরা উদ্বিগ্ন।'
সংবাদমাধ্যমগুলোকে সরাসরি হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ, জাতীয় অখণ্ডতা বিঘ্নিত করতে পারে এমন কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের আছে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারে। দুই বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লক্ষ টাকা জরিমানারও বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশের সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য, হাসিনার কণ্ঠরোধ। যা কাম্য নয়, মত তাঁদের। এমনিতেই ফাঁসির সাজার সমালোচনা হয়েছে বিশ্বজুড়ে। হাসিনা নিজে অভিযোগ করেছেন, তাঁর কোনও আইনজীবীকে মামলা লড়তেই দেওয়া হয়নি। একতরফাভাবে বিচার প্রক্রিয়া চলেছে। সেই অভিযোগের জবাব দেওয়ার বদলে তাঁর বক্তব্য প্রকাশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল অস্থায়ি সরকারের তরফে।