বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টার বয়ানে ক্ষুব্ধ হিন্দুরা। দুর্গাপুজোর মেলায় মদ-গাঁজা বিক্রি হয় বলে দাবি করেন স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, 'এবার মেলা হবে না, তবে ছোট দোকান খোলা যেতে পারে। তাও পুজো কমিটির অনুমতি নিয়ে। '
এই মন্তব্যে বাংলাদেশি হিন্দুরা ক্ষোভপ্রকাশ করেন। বলেন, "জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য তাদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তাঁর বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে দুর্গাপুজোয় মেলার সময় হিন্দুরা মদ, গাঁজা খায়। শুধু তাই নয়, এবার বিসর্জনের সময়ও সন্ধে ৭টার মধ্যে করতে বলা হয়েছে যা অত্যন্ত অনৈতিক।"
বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নিয়ে ইউনূস সরকারের বক্তব্যের পর হিন্দুদের মধ্যে ক্ষোভের ঢেউ। বাংলাদেশের অনেক হিন্দু সংগঠন জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্যকে 'আপত্তিকর' বলে অভিহিত করেছে। তাঁদের দাবি, "জাহাঙ্গীর আলম কীভাবে বলতে পারেন, দুর্গাপুজোর সময় অনুষ্ঠিত মেলায় গাঁজা এবং মদ খাওয়া হয়? এখানকার পরিবেশ এখনও ঠিক হয়নি কারণ আমরা এই বক্তব্যের প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবে বুকিং করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাদের বুকিং দেওয়া হচ্ছে না। এবারও আমরা খুব চিন্তিত যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপুজো উদযাপন করতে পারব কিনা। গত বছর দুর্গাপুজো প্যান্ডেলগুলিতে হামলার ছায়া এবারও তীব্র হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন।"
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার দুর্গাপুজোর হয়। তবে এবার বাংলাদেশ প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ৩৩ হাজার পুজো মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুলিশ এবং র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সদস্যরা সতর্ক থাকবে। যদি দেখা যায়, এবার বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ দুর্গাপুজো আয়োজন করা সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং।
গতবার দুর্গাপুজো প্যান্ডেলগুলিতে হামলার পর ইউনূস সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে, এবারও প্রশাসনের কাছে শান্তিপূর্ণ দুর্গাপুজো আয়োজন অগ্রাধিকার।
(ইনপুট: অনুপম মিশ্র)