বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে হামলার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলল ইউনূস সরকার। এই ঘটনায় এক বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কোনও নিদর্শন নষ্ট হয়নি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর।
কী জানিয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়?
প্রথম আলো সূত্রে খবর, বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বাইরে কোনও সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতত্ত্ব অধি দফতর ২টি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলেও জানানো হয়েছে। হামলার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে কাছারিবাড়ি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে?
বিবৃতিতে সে দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৮ জুন শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির দায়িত্বরত কর্মী এবং এক দর্শনার্থীর মধ্যে পার্কিং টিকিট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কাছারিবাড়িতে কবিগুরুর মর্যাদাহানিকর কিছু ঘটেনি। এই ঘটনার পর সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে প্রথম আলো জানিয়েছে, রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির ঘটনায় তদন্ত কমিটি কাজ করছে। শুক্রবার বিকেলে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ফের দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি। আগের মতোই দর্শনার্থীরা কাছারিবাড়ি ঘুরে দেখতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। হামলার ঘটনার জেরে বন্ধ করা হয়েছিল কাছারিবাড়ি দর্শন।