Advertisement

Muhammad Yunus at Dhakeshwari Temple: 'এই আনন্দ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাইনি', পুজোর আগেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ইউনূস

তিনি মন্দিরে পৌঁছে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন। ইউনূসের এই পরিদর্শনটি আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে নিরাপত্তা ও সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার অংশ হিসেবে করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তিনি।

 বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগের মাঝেই মন্দিরে ইউনূস বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগের মাঝেই মন্দিরে ইউনূস
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 17 Sep 2025,
  • अपडेटेड 7:12 AM IST

পুজোর আর হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি। প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গের মত বাংলাদেশের হিন্দুদের কাছেও প্রধান উৎসব দুর্গাপুজো। সেখানেও চলছে দেবী বন্দনার আয়োজন। আর এর মাঝেই রাজধানী ঢাকার  ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা  মহম্মদ ইউনূস। তিনি মন্দিরে পৌঁছে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন। ইউনূসের এই পরিদর্শনটি আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে নিরাপত্তা ও সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার অংশ হিসেবে করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এবছর গোটা বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর সংখ্যা হাজার খানেক বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। পুজো হচ্ছে ৩১ হাজারেরও বেশি।  সমস্ত মণ্ডপের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহম্মদ ইউনূস। এর আগে, সোমবার বিকেলে ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস-র সঙ্গে দেখা করেন বিভিন্ন পুজো উদযাপন পরিষদের নেতারা। তাঁরা সকলে মহম্মদ ইউনূসকে নিজেদের পুজোমণ্ডপ পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান।

 মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ইউনূস পৌঁছন ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। হিন্দুদের সঙ্গে জনসংযোগের উদ্দেশেই ইউনুস ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের। সেখানে হিন্দুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় প্রস্তুতির কথাও জানতে চান ইউনুস। উল্লেখ্য, হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে বারবার হিন্দুদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে।সমালোচনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে। এই আবহে ইউনূসের ঢাকেশ্বরী মন্দির সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী মন্দির বলেন, ‘আমরা চাই না নিরাপত্তা বাহিনীর ঘেরাটোপে থেকে ধর্ম পালন করতে। আমরা চাই নাগরিক হিসেবে মুক্তভাবে যার যার ধর্ম পালন করতে। এ অধিকার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ভূমিকা পালন করছে, আমরা এ জন্য কৃতজ্ঞ। কিন্তু আমাদের এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মানুষের ধর্মীয় উৎসব পালনে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপের প্রয়োজন হবে না।’ শারদীয় দুর্গাপুজো উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর ব্যক্তিগত অনুভূতির কথাও ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম, এবার হয়তো আমাকে এ আনন্দ থেকে বঞ্চিত করা হবে। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা। আমি বললাম, যাবই। এই আনন্দ থেকে আমি নিজেকে দূরে রাখতে চাইনি। যদিও শারদীয় দুর্গাপূজার সময়ে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে সরকারপ্রধান হিসেবে আমাকে থাকতে হবে। তাই আমি আগেভাগে এসেছি আপনাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে।’ ইউনূসের বক্তব্য, ‘গতবার যখন এখানে এসেছিলাম, তখনো বলেছিলাম, আমরা সবাই একটি পরিবার। পারিবারিক মতভেদ থাকবেই, কিন্তু পরিবার ভাঙবে না।’

Advertisement

 প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যত ধর্মীয় পার্থক্য থাকুক, মতের পার্থক্য থাকুক, রাষ্ট্রের কোনো অধিকার নেই বৈষম্য করার। রাষ্ট্র দায়িত্ববদ্ধ সবাইকে সমান মর্যাদা দেওয়ার জন্য। সে যেই ধর্মেই বিশ্বাস করুক, যে মতবাদেই বিশ্বাস করুক, ধনী হোক কিংবা গরিব—রাষ্ট্রের কাছে সে একজন নাগরিক। নাগরিকের সব অধিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ আছে।’

Read more!
Advertisement
Advertisement