Advertisement

Sheikh Hasina: হাসিনাদের কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বড় অ্যাকশন

সমস্যা আরও বাড়তে চলেছে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট এবার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার। পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমনকী সাংসদদেরও। বুধবার (২১ অগাস্ট) বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশনের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার বাতিল করছে লাল পাসপোর্ট
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 22 Aug 2024,
  • अपडेटेड 11:10 AM IST

সমস্যা আরও বাড়তে চলেছে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট এবার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে  বাংলাদেশের অন্তর্বতী সরকার। পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, এমনকী সাংসদদেরও। বুধবার (২১ অগাস্ট) বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশনের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

 মশিউর রহমান বলেন, লাল পাসপোর্ট বাতিলের বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অভিবাসন ও পাসপোর্ট বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি শিগগির আদেশ জারি করা হবে।
তিনি আরও জানান, কেউ যদি (কূটনৈতিক পাসপোর্ট থাকলে) নতুন পাসপোর্ট নিতে চান, তাহলে প্রথমে লাল পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং তারপর আইন অনুযায়ী একটি সাধারণ পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে। জানা গেছে, লাল পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে বাংলাদেশের প্রাক্তন  মন্ত্রী-এমপি যাদের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে বা গ্রেফতার  হয়েছেন তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই তারা সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

লাল পাসপোর্টকে ডিপ্লোমেটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বলা হয়। এই পাসপোর্ট রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য ও তাদের স্বামী বা স্ত্রী, উচ্চতর আদালতের বিচারপতি, সরকারি  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রধান, মন্ত্রকের সচিব এবং বিদেশে বাংলাদেশি মিশনের কর্মকর্তারা পেয়ে থাকেন। উল্লেখ্য, যাদের লাল পাসপোর্ট রয়েছে তাদের বিদেশ ভ্রমণের জন্য কোনো ভিসার প্রয়োজন হয় না। তারা সংশ্লিষ্ট দেশে অবতরণের পর অন অ্যারাইভাল ভিসা পান। লাল পাসপোর্ট তথা ডিপ্লোমেটিক বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট সব দেশেই লাল রঙের হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী, বাংলাদেশের লাল পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ভারতে ৪৫ দিন পর্যন্ত অবস্থান করতে পারেন। সে কারণেই শেখ হাসিনা ভিসা ছাড়াই ভারতে  অবস্থান করতে পারছেন। তবে এরইমধ্যে ১৭ দিন কেটে গেছে। আর ২৮ দিন তিনি এভাবে অবস্থান করতে পারবেন। তবে তার আগেই যদি বাংলাদেশ শেখ হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল করে দেয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে থাকতে অন্য  বিকল্পের বিষয়ে  চিন্তা করতে হবে।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement