অবশেষে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক হল বাংলাদেশে। কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভুয়ো খবর ও ভিডিও ছড়ানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তা রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করা হয়। তারপর আজ রবিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়।
বাংলাদেশের মন্ত্রী জুনেইদ আহমেদ পলক সংবাদমাধ্যমকে জানান, রবিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় দুপুর ৩টে থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা সচল করা হয়েছে। এখন ফোর জি পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। তিনদিন পর থেকে ফাইভ জি পরিষেবা চালু করা হবে। বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম এই খবর সামনে এনেছে।
বাংলাদেশের রবি, গ্রামীনফোনের মতো সংস্থা জানিয়েছে, সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর থেকেই তারা পরিষেবা সচল করে দিয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সময় বাংলাদেশের মন্ত্রী জুনেইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, দেশের বর্তমান অবস্থা ও ফের নিউজের রমরমার কারণে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে মোবাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা সচল হলেও এখনও বাংলাদেশে ফেসবুক, টিকটিক, ইউটিউবের মতো মাধ্যম চালু করা হচ্ছে না। তার কারণও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন ৩১ জুলাইয়ের মধ্য়ে ওই সব কর্তৃপক্ষের সদস্যদের ঢাকা আসতে হবে। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যাঁরা লড়েছিলেন তাঁদের আত্মীয়দের জন্য ৩০ শতাংশ সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ছিল। যার বিরোধিতা করে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা আন্দোলনে নামে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে সেই দেশে মারা যায় অনেকে। দেশজুড়ে হিংসার পর ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে গত সোমবার, সুপ্রিম কোর্ট কোটা কমিয়ে মাত্র ৫ শতাংশ করে। সাফ জানিয়ে দেয়, সিভিল সার্ভিসের ৯৩ শতাংশ চাকরি মেধার ভিত্তিতে হবে। তারপরই আন্দোলন প্রত্যাহার করে ছাত্র-ছাত্রীরা।