Advertisement

Bangladesh : 'জিহাদ চাই জিহাদ, আমরা জঙ্গি', বাংলাদেশে মসজিদের বাইরে প্রকাশ্যে স্লোগান সন্ত্রাসবাদীদের

অচলাবস্থা অব্যাহত বাংলাদেশে। জঙ্গি কার্যকলাপ সেখানে বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ। এবার প্রকাশ্য সড়কে সেই দেশের চরমপন্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠনগগুলোর দাপাদাপি। গত শুক্রবার নমাজের পর হিযবুত তাহবির, উইলায়াহ বাংলাদেশ, আনসার আল ইসলাম এবং জামায়েত ইসলামির মতো সংগঠনগুলো ঢাকার জাতীয় মসজিদের সামনে প্রকাশ্যে 'জিহাদ'-র শ্লোগান দেয়।

বাংলাদেশে জিহাদের স্লোগান বাংলাদেশে জিহাদের স্লোগান
Aajtak Bangla
  • ঢাকা ,
  • 20 Jul 2025,
  • अपडेटेड 11:45 AM IST
  • অচলাবস্থা অব্যাহত বাংলাদেশে
  • এবার প্রকাশ্য সড়কে সেই দেশের চরমপন্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠনগগুলোর দাপাদাপি

অচলাবস্থা অব্যাহত বাংলাদেশে। জঙ্গি কার্যকলাপ সেখানে বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ। এবার প্রকাশ্য সড়কে সেই দেশের চরমপন্থী ও নিষিদ্ধ সংগঠনগগুলোর দাপাদাপি। গত শুক্রবার নমাজের পর হিযবুত তাহবির, উইলায়াহ বাংলাদেশ, আনসার আল ইসলাম এবং জামায়েত ইসলামির মতো সংগঠনগুলো ঢাকার জাতীয় মসজিদের সামনে প্রকাশ্যে 'জিহাদ'-র শ্লোগান দেয়। নিজেদের জিহাদি বলেও ঘোষণা করে তারা। এই ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই স্লোগান দেওয়া হয়। তবে প্রশাসনের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। 

শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ সরকারের আমলে উপরে উল্লেখিত জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কারণ ওই সব সংগঠনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার ও বোমাবাজির অভিযোগ ছিল। কাগজে-কলমে সেই সব সংগঠন আজও নিষিদ্ধ। তবে সে সবের পরোয়া না করেই তারা রাস্তায় নেমেছে। প্রকাশ্যে প্ররোচনামূলক স্লোগান দিচ্ছে। 

সূত্রের খবর, এই সব জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা শুক্রবার বিভিন্ন শহর থেকে এসে ঢাকায় জমায়েত করে। তারপর ঢাকার মসজিদের বাইরে 'জিহাদ'-র পক্ষে স্লোগান দিতে শুরু করে। তারা প্রকাশ্যে বলতে থাকে, 'আমরা কে? জঙ্গি জঙ্গি', 'ইসলামি বাংলাদেশে কাফেরদের কোনও স্থান নেই'-ইত্যাদি। 

এদিকে এই খবর সামনে আসার পর মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন অনেকেই। একটি স্বাধীন দেশে কতগুলো জঙ্গি সংগঠন কীভাবে প্রকাশ্যে 'জিহাদ'-এর ঘোষণা করছে? কীভাবে নিজেদের জঙ্গি বলে রাস্তায় রাস্তায় দাপাদাপি করছে? সেই সব প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 

কেন এসব নিষিদ্ধ সংগঠনের দাপাদাপি? আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫ অগাস্ট ক্ষমতা পরিবর্তনের পর সন্ত্রাসবাদ-সম্পর্কিত মামলায় অভিযুক্ত শত শত ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। বাংলাদেশের কারা বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ৩০০ জনেরও বেশি এমন ব্যক্তি জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে যারা জঙ্গি  কার্যকলাপে যুক্ত ছিল। ফলে তারা ফের রাস্তায় নেমেছে। 

Advertisement

সূত্রের খবর, গত ১১ মাসে শুধুমাত্র জেএমবি-র মতো সংগঠনের ১৪৮ জন আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিমুদ্দিন রাহমানির জামিন মিলেছে। এরাই প্রকাশ্যে প্ররোচনামূলক কাজকর্ম করছে বলে অভিযোগ। 

গত বছরের ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তারপর সেখানে ক্ষমতাভার সামলাচ্ছেন মহম্মদ ইউনূসের সরকার। তাঁর আমলে সেই দেশে অরাজকতা বেড়ে চলেছে বলে অভিযোগ। অত্যাচার বাড়ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর। একাধিক মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। খুনও হয়েছেন অনেকে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement