Advertisement

Bangladesh: হাসিনাকে সরানো সেই নাহিদ ইসলাম ছাড়লেন উপদেষ্টার পদ, ইউনূসের চাপ বাড়ল!

বাংলাদেশে উত্তেজনা অব্যাহত। এরই মধ্যে পদত্যাগ অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ও ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাহিদ ইসলাম। তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এ কথা আজ ঘোষণা করাও হতে পারে।

মহম্মদ ইউনূস- নাহিদ ইসলামমহম্মদ ইউনূস- নাহিদ ইসলাম
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 Feb 2025,
  • अपडेटेड 1:18 PM IST

বাংলাদেশে উত্তেজনা অব্যাহত। এরই মধ্যে পদত্যাগ অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ও ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাহিদ ইসলাম। তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারেন বলে সূত্রের খবর। এ কথা আজ ঘোষণা করাও হতে পারে।

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ নাহিদ ইসলাম। পদত্যাগের পর তিনি বলেন, "দেশে এখন যা পরিস্থিতি তাতে তিনি ফের ছাত্রদের মাঝেই ফিরে যেতে চান। এই পরিস্থিতিতে নতুন রাজনৈতিক শক্তির আগমন জরুরি। গণআন্দোলনের ধার মজবুত করতে পদত্যাগ করেছি।"

নাহিদ ইসলাম ও মহম্মদ ইউনূস কী সরকারকে চ্যালেঞ্জ করবেন?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি একসঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চলেছে। বলা হচ্ছে, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের লড়াই যেন অব্যাহত রাখা যায় সেজন্যই এই দল গঠন করা হচ্ছে। নতুন এই দলের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি তবে বলা হচ্ছে জুলাই বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত অনেক নাম দলের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন এই রাজনৈতিক দলটি বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকারকে চ্যালেঞ্জ করবে বলেও বলা হচ্ছে।

বিডিনিউজ ডট টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই দলকে নেতৃত্ব দিতে পারেন নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলম। তাঁরা সার্গিস স্টুডেন্টস অ্যাগেইনস্ট ডিসক্রিমিনেশনের কো-অর্ডিনেটর।

উল্লেখ্য, নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়। এরপর গত ৮ অগাস্ট মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।

হুঁশিয়ারি বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের
এর আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ্জমান সব নেতাদের সতর্ক করে তাদের একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে না জড়াতে বলেন। তিনি বলেন, এতে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে। মানুষ যদি নিজেদের মতভেদ ভুলে যেতে না পারে বা একে অপরকে দোষারোপ করা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।

Advertisement

মঙ্গলবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন। পরে বলবেন না যে আমি সতর্ক করিনি। নিজেদের মতভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করলে এবং একে অপরকে দোষারোপ করলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

সেনাপ্রধান বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতির কিছু কারণ এগুলি। প্রথম কারণ নিজেদের মধ্যে মারামারিতে এরা ব্যস্ত। যদি পার্থক্যগুলি ভুলে না যান তবে এটি সমস্যার সৃষ্টি করবে। দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। আমি সতর্ক করছি।

সব নেতা একে অপরকে দোষারোপ করতে ব্যস্ত যার ফলে দুষ্কৃতীরা পরিবেশ নষ্ট করে লাভবান হচ্ছে। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে তারা সহজেই বেঁচে যাচ্ছে।

Read more!
Advertisement
Advertisement