Advertisement

Bangladesh: এবার ইউনূসে বিরক্ত BNP, বাংলাদেশে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে, ভোট আদৌ হবে?

বাংলাদেশে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর। গত বছর অগাস্টে বিরোধী দলের ডাকে দেশের নানা প্রান্তে বড় ধরনের আন্দোলন শুরু হয়, যার জেরে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান।

মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি-র বৈঠকমহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি-র বৈঠক
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 17 Apr 2025,
  • अपडेटेड 9:13 AM IST
  • কেন এই আলোচনার গুরুত্ব
  • নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য
  • অদূর ভবিষ্যতে কী হতে পারে?

 বাংলাদেশের রাজনীতি ক্রমেই জটিল আকার নিচ্ছে। বর্তমানে আওয়ামি লিগ বাংলাদেশে কোণঠাসা। শক্তি বাড়িয়েছে খালেদা জিয়ার দল BNP। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বিএনপি-র সম্পর্ক ততই তিক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির (বিএনপি) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনার পর নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী হতে পারেনি। নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই আয়োজন করার দাবি জানালেও, প্রধান উপদেষ্টা সময়সীমা নির্দিষ্টভাবে জানাননি,এই বিষয়টিতে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

সংবাদ সংস্থা PTI জানাচ্ছে, বুধবার রাজধানী ঢাকার যমুনা রাজ্য অতিথিশালায় দুই ঘণ্টা চলা আলোচনায় বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আলোচনা শেষে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট না। আমরা বারবার বলেছি—নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যে কোনও সময় নির্বাচন হতে পারে। এটা অস্পষ্ট, গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোট দরকার। তা না হলে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে, যা পরে নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।'

কেন এই আলোচনার গুরুত্ব

বাংলাদেশে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর। গত বছর অগাস্টে বিরোধী দলের ডাকে দেশের নানা প্রান্তে বড় ধরনের আন্দোলন শুরু হয়, যার জেরে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। এরপর নোবেলজয়ী ইউনূস দায়িত্ব নেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে। বর্তমানে দেশে একটি নতুন রাজনৈতিক দল ‘ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি’ (এনসিপি) গঠিত হয়েছে, যেটির পেছনে ইউনূসের সমর্থন রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দল বলছে, নির্বাচন আয়োজনের আগে বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া জরুরি।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য

বিএনপি বলছে, তারা সংস্কারের বিপক্ষে নয়, বরং সরকারপ্রস্তাবিত সংস্কারের অনেকগুলিকেই তারা সমর্থন করছে। তবে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ না করলে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'যেহেতু সংস্কার নিয়ে একটা ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, তাহলে এখন আর ভোটের রোডম্যাপ দিতে দেরি করার মানে হয় না। ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব। জনগণ চাইছে ভোট দিতে, তাই আর দেরি করা ঠিক হবে না।'

Advertisement

সরকারের দিক থেকে কী বলা হচ্ছে?

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে কিছু বিএনপির পক্ষে, কিছু বিপক্ষে গিয়েছে। তবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বিএনপি সত্যিই সংস্কার নিয়ে আন্তরিক। তিনি বলেন, 'নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে, এটাই বলা হয়েছে। এর মানে এই না যে ইচ্ছা করে দেরি করানো হবে। বরং যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন আয়োজন করার চেষ্টা চলবে।' প্রধান উপদেষ্টার দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আলোচনা হয়েছে খোলামেলা এবং আন্তরিক পরিবেশে। সব দলের সঙ্গে আলাপ করে একটা গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছনোই আমাদের লক্ষ্য।'

এনসিপি কী বলছে?

নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি বলছে, বর্তমান প্রশাসন অনেকাংশে বিএনপি-র পক্ষে কাজ করছে। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, 'এমন প্রশাসনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা চাই আগে বিচার হোক, তারপর ভোট।'

অদূর ভবিষ্যতে কী হতে পারে?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশ এক কঠিন সময় পার করছে। একটি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সময়সীমা নির্ধারণ নিয়ে যে টানাপোড়েন চলছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে, সামনে আরও রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। বিএনপি যদি সময়মতো নির্বাচনের নিশ্চয়তা না পায়, তাহলে তারা আবারও রাজপথে নামতে পারে। অন্যদিকে, সরকার চাইছে একটা ‘ধাপে ধাপে’ নির্বাচন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে।


Read more!
Advertisement
Advertisement