বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঐতিহাসিক দিন। আজ অর্থাত্ শুক্রবার বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হচ্ছে নতুন রাজনৈতিক দলের। দেশের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষেই হবে সাধারণ নির্বাচন। তার আগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কী হতে চলেছে, প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলে।
নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। তরুণ ছাত্রদের এই দলটির ইংরেজি নাম ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি। আজ বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টেয় নতুন দলের আত্মপ্রকাশ হবে। জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও জানানো হয়, নতুন রাজনৈতিক দলের নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেনস পার্টি বা এনসিপি)।
শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে দলের নাম ও কর্মসূচি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে
জাতীয় নাগরিক পার্টির সদর দফতর করা হয়েছে ঢাকায়। বৃহস্পতিবারই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে দলের নাম ও কর্মসূচি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। কারা কোন পদে থাকবেন, তাও ঠিক হয়েছে বৈঠকে। নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারিকে নতুন দলের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সামান্তা শারমিনকে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, আবদুল হান্নান মাসুদ যুগ্ম সমন্বয়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল), সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) ও সালেহউদ্দিন সিফাতকে দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলে সদস্যসচিবের পদ পাচ্ছেন আখতার হোসেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে
গত ৫ অগাস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। সেই সময় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নাহিদ ইসলামও। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়কের পদে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশের বক্তব্য, জাতীয় নাগরিক পার্টির আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তাঁদের বক্তব্য, কোনও নির্দিষ্ট আদর্শ না থাকলে, সবাই সেই আদর্শে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে না। ফলে দলের মধ্যে নানা বিভ্রান্তি তৈরির সম্ভাবনা থাকে। শুধু ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে একটি রাজনৈতিক গঠন করা ভবিষ্যতের জন্য ভাল নয়।