ফের বিপাকে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। শনিবার থেকে সেই দেশের সরকারি আধিকারিক ও কর্মচারীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এবার কর্মবিরতির ডাক প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তাদের সোমবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বেতন বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের দাবি, বেতন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সরকারের তরফে তা করা হয়নি। সেই কারণে তাঁরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন। গত ৫ মে থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। কোনও কোনও জায়গায় আংশিক ধর্মঘটের ডাকও দেওয়া হয়। তবে সোমবার সর্বসম্মতভাবে ধর্মঘট পালন করেন হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, বেতন স্কেলে একাদশ গ্রেডে প্রাথমিক বেতন নির্ধারণ, ১০ এবং ১৬ বছরের চাকরির পরে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির সমস্যা সমাধান এবং দ্রুত পদোন্নতি নিশ্চিত করা। এর মধ্যে রয়েছে সমস্ত প্রধান শিক্ষক পদ পূরণের জন্য সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ ইউনূস সরকারকে বিপাকে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এমনিতেই সম্প্রতি ইউনূসের সঙ্গে সেনার বিরোধের জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে না দিতেই এবার শিক্ষক ও সরকারি আধিকারিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল।
এর আগে বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন শুরু করেছেন সরকারি কর্মী ও প্রশাসনিক অধিকারিকরা। গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ। ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এরপর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ। চার দিন সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।