শ্রীলঙ্কার কায়দায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়ল আন্দোলনকারীরা। আজই শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। সূত্রের খবর বোন রেহানাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন তিনি। তারপরই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা। গণভবনের বাইরে যে মাঠ আছে সেখানে জমায়েত করতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
বাংলাদেশের প্রথম আলো-তে প্রকাশিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গণভবনে ঢুকে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। সেখানে তারা স্লোগান দিচ্ছে। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে। এদিনই বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার শেখ হাসিনাকে নিয়ে যাত্রা করে। তবে হেলিকপ্টারে তিনি কোথায় যাচ্ছেন তা এখনও জানা যায়নি। কেউ বলছেন, তিনি লন্ডনে যাচ্ছেন। আবার কোনও কোনও সূত্রে খবর, তিনি পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, গণভবনে ঢোকার পর আন্দোলনকারীরা সেখানকার জিনিসপত্র হাতে তুলে নেয়। বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তিও ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেদেশের রাস্তায় পুলিশ দেখা যায়নি। অস্ত্র হাতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আন্দোলনকারীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী কারফিউ উপেক্ষা করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সোমবার রাজধানী ঢাকায় লংমার্চের জন্য জড়ো হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে সোমবার একদিনের লংমার্চের ডাক দেয়। এই লংমার্চকে সামনে রেখে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মী ও সাঁজোয়া যান রাস্তায় টহল দিতে দেখা দেয়।
খবরে বলা হচ্ছে, এই বিক্ষোভের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেছে, এই সরকার অনেক ছাত্রকে হত্যা করেছে। এখন সময় এসেছে, সরকারকে তার কৃতকর্মের হিসাব দিতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থী সোমবার ঢাকায় অবস্থান করছে। আরেক ছাত্র এম জুবায়ের বলেন, মিছিল কেউ আটকাতে পারবে না। তাদের মোকাবিলা করলে বাংলাদেশকে স্বাধীন করব। আমি আমার সেনা ভাইদের বলতে চাই স্বৈরশাসকদের সমর্থন না করতে। হয় আপনি মানুষকে সমর্থন করুন বা নিরপেক্ষ থাকুন।
ঢাকার ধানমন্ডির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাড়িতেও হামলা ও ভাঙচুর করছেন আন্দোলনকারীরা। আজ দুপুরে এই দৃশ্য দেখা যায়। দরজা ভেঙে হাজারও আন্দোলনকারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ঢুকে পড়েন। বাড়ির ভেতর থেকে ধোয়াও বের হতের দেখা যাচ্ছে। ভেতরে ভাঙচুরও চলছে।