Advertisement

Bangladesh Election : অশান্তির জেরে বাংলাদেশে ভোট পিছিয়ে যাচ্ছে? উত্তর দিলেন ইউনূস

সোমবার রাতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার আমেরিকান দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে ফোনে বৈঠক করেন ইউনূস। মার্কিন প্রতিনিধিকে তিনি আশ্বাস দেন, পূর্ববর্তী ঘোষণা মতো আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শেখ হাসিনা ও মহম্মদ ইউনূস শেখ হাসিনা ও মহম্মদ ইউনূস
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ও ঢাকা ,
  • 23 Dec 2025,
  • अपडेटेड 1:58 PM IST
  • ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদি হওয়ার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ
  • তাহলে কি নির্বাচন পিছিয়ে যাবে সেই দেশে?

ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদি হওয়ার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশ। নির্ধারিত ফেব্রুয়ারি মাসে আদৌ নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান, মহম্মদ ইউনূসের দাবি, নির্বাচন যথাসময়ে হবে। তাঁর আরও অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকরা এই অশান্তি করছে। 

সোমবার রাতে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার আমেরিকান দূত সার্জিও গোরের সঙ্গে ফোনে বৈঠক করেন ইউনূস। মার্কিন প্রতিনিধিকে তিনি আশ্বাস দেন, পূর্ববর্তী ঘোষণা মতো আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নাম না করলেও তিনি কার্যত পরিষ্কার করে দেন, বাংলাদেশে চলমান অশান্তির পিছনে আওয়ামি লিগের হাত রয়েছে। নাম না করে মুজিব কন্যা হাসিনাকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। 

বাংলাদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত দুজনের মধ্যে কথা হয়। বাণিজ্যিক আলোচনার পাশাপাশি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করেন। আসন্ন নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বতী সরকারের পরিকল্পনার কথা জানতে চান সার্জিও গোরে। উত্তরে ইউনূস বলেন, 'স্বৈরাচারী শাসক কর্তৃক কেড়ে নেওয়া ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। তাই সরকার নির্বাচন করাতে বদ্ধপরিকর। ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করছে। তাদের পলাতক নেত্রী উস্কানি দিচ্ছেন। তবে আমি সমস্ত ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত।' 

অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করাতে চান তিনি, সেকথাও মার্কিন প্রতিনিধিকে জানান ইউনূস। বলেন, 'নির্বাচনের এখনও ৫০ দিন বাকি আছে। আমরা একটা অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। সেজন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।' 

বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন তাঁরা। সেকথা ইউনূসকে জানান সার্জিও। একইসঙ্গে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির মৃত্যু ও শেষকৃত্য নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। 

প্রসঙ্গত, ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। ঢাকা-সহ একাধিক শহরে বিক্ষোভ দেখিয়েছি আন্দোলনকারীরাষ। ভাঙচুর চালিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। দেশবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। তারপরও কাজ হয়নি তেমন। সোমবারও দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন এলাকায়।   

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement