বাংলাদেশে (Bangladesh) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে ভারত বিরোধী নানা মন্তব্য সামনে আসছে, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। এবার অত্যন্ত বিতর্কিত মন্তব্য করলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) অধ্যাপক, যা তীব্র ভাবেই ভারত বিরোধী। বাংলাদেশের বেশ পরিচিত ওই অধ্যাপকের কথায় স্পষ্ট, বাংলাদেশে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ভারতের সঙ্গে শত্রুতা ও পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে বন্ধুত্বের দিকে এগোতে চাইছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান একটি সেমিনারে বাংলাদেশের পরমাণু অস্ত্রের প্রসঙ্গ তোলেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের কাছে ভারত একটি বড় বিপদ বলেও দাবি করেন তিনি। অধ্যাপকের কথায়, 'আমাদের পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু সন্ধি করতে হবে। পাকিস্তানই বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও ভরসাযোগ্য সুরক্ষা। এটাই ভারত আমাদের বিশ্বাস করাতে চায় না।'
'পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু সন্ধি করা উচিত'
ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে শাহিদুজ্জামান বলেন, 'ভারতের ধারণা বদলানোর জন্য সঠিক জবাব হবে, আমাদের পরমাণু শক্তিধর হতে হবে। বাংলাদেশকে পরমাণু শক্তিধর গড়ে তোলা হোক। পরমাণু শক্তিধর হওয়া মানে, আমি বলতে চাইছি, আমাদের প্রাক্তন প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে পরমাণু সন্ধি করা উচিত। কারণ পাকিস্তান বরাবর বাংলাদেশের সবচেয়ে ভরসাযোগ্য সুরক্ষা সহযোগী। বাংলাদেশের উচিত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে বন্ধুত্ব করা।'
'পাকিস্তানিরা চায় না, আমরা ভারতের সঙ্গে থাকি'
পাকিস্তানের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'পাকিস্তানিরা চায় না, আমরা ভারতের সঙ্গে থাকি। ওঁরা আমাদের ভারতের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সব কিছু করতে পারে।' অধ্যাপক শাহিদুজ্জামান পাকিস্তানের কাছ থেকে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র অর্জন এবং ভারতীয় সীমান্তে মোতায়েন করার কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাকিস্তানের ঘৌরি স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন ভারতের ওপর প্রতিবন্ধক প্রভাব ফেলবে। তিনি অভিযোগ করেন, ভারত বাংলাদেশের কিছু অংশ দখল করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির অংশ বানাতে চায় এবং এটি বন্ধ করতে পরমাণু চুক্তি এবং পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র অর্জনে সহায়তা প্রয়োজন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কী চান?
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। এটা হওয়া উচিত 'ন্যায় ও সমতার' ভিত্তিতে।' ইউনূস তার ভাষণে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ অনেক দেশের নেতারা তাকে অভিনন্দন জানাতে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন, 'আমরা ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই, তবে এই সম্পর্ক হওয়া উচিত ন্যায় ও সমতার ভিত্তিতে।'