Bangladesh Crypto Scandal: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের নেপথ্যে বিদেশি অর্থ? সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টে মিলল বড়সড় যোগসূত্র। এক তদন্তে দেখা যাচ্ছে, এই আন্দোলনে বিপুল পরিমাণ বিদেশি টাকা আসার সম্ভাবনা প্রবল। আর আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তির বড় অঙ্কের ক্রিপ্টো বিনিয়োগ রয়েছে। এর ফলে টাকা পাচারের আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
বিপুল ক্রিপ্টো বিনিয়োগের অভিযোগ
এডিএসএম (ADSM) নেতা এবং ‘জাতীয় নাগরিক কমিটি’র প্রতিষ্ঠাতা সরজিস আলমের বিরুদ্ধে ৭.৬৫ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৫ কোটি টাকা) ক্রিপ্টোকারেন্সি টেথারে (Tether) বিনিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। অত্যন্ত সাধারণ পারিবারিক পটভূমি থেকে উঠে এসে এত বড় সম্পত্তি গড়ে তোলা বেআইনি বহিরাগত কোনও ফান্ডিংয়েরই ইঙ্গিত বলা যেতে পারে।
মুদ্রা পাচারের আশঙ্কা
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইটি উপদেষ্টা এবং এডিএসএমের সমন্বয়কারী নাহিদ ইসলাম ২০৪.৬৪ বিটকয়েন (BTC) বিনিয়োগ করেছেন। যার বাজারমূল্য ১৭.১৪ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৪৭ কোটি টাকা)। এত বড় বিনিয়োগ তাঁর আয়ের উৎস নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ
সিটিজি বিশ্ববিদ্যালয়ের (CTG University) সঙ্গে যুক্ত এডিএসএম নেতা খান তলত মাহমুদ রফি ১১.০৯৪ বিটকয়েন কিনেছেন। যার মূল্য ১ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮.৬০ কোটি টাকা)। পরিচিত কোনও ধনী পারিবারিক পটভূমি না থাকা সত্ত্বেও এত বড় অঙ্কের বিনিয়োগ মুদ্রা পাচারের আশঙ্কা তৈরি করছে।
সংবাদমাধ্যমের ব্যক্তিরাও যুক্ত এই চক্রে, অভিযোগ
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব এবং সাংবাদিক শফিকুল আলমের বিরুদ্ধে ৯৩.০৬ বিটকয়েন (১০ মিলিয়ন ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৬ কোটি টাকা) মালিকানার অভিযোগ উঠেছে। এতে স্পষ্ট, আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত মিডিয়ার অনেকেই বিদেশি ফান্ডিং চক্রের অংশ।
ছাত্র আন্দোলনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে
বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে একসময় রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু এখন বিদেশি ফান্ডিং এবং বিশাল অঙ্কের ক্রিপ্টো বিনিয়োগ এই আন্দোলনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এটি শুধু অর্থের নয়, বরং দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করার গভীর ষড়যন্ত্র।
খবরটি হিন্দিতে পড়ুন: CLICK HERE .