বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রুখতে সীমান্তে চলছে কাঁটাতার দেওয়ার কাজ। আর তাতেই ক্ষেপেছে বাংলাদেশি সেনা। বিভিন্ন জায়গায় তারা কাঁটাতার দেওয়ার কাজ পণ্ড করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কোচবিহার, মালদা, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ সীমান্তে সমস্যা তৈরি করছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (BGB)। এনিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করল ঢাকা।
সীমান্তে কাঁটাতার নিয়ে আপত্তি ইউনূস সরকারের। রবিবার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে তলব করে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। দুপুর ৩টে নাগাদ বিদেশমন্ত্রকের অফিসে ঢুকতে দেখা গিয়েছে প্রণয় বর্মাকে। বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জসীমউদ্দিনের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হয় তাঁর। তবে কী আলোচনা হয়েছে, সেই সংক্রান্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করেনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
সীমান্তে কাঁটাতার নিয়ে বাংলাদেশে আপত্তি কেন?
ঢাকার দাবি, সীমান্তে কাঁটাতার দিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করছে নয়াদিল্লি। এমন ৫টি জায়গায় কাঁটাতার দিয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অমান্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরীর দাবি, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো লাইন থেকে দেড়শো গজের মধ্যে কোনও কাজ করতে দেওয়া হবে না। এর মধ্যে তিনটি জেলার পাঁচটি সীমান্তে বিএসএফকে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেন,'বিদেশ মন্ত্রকের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত করব'।
বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের জেরে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে। তারপর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সে দেশে হিন্দুদের উপর শুরু হয়েছে নির্যাতন। তার প্রতিবাদও জানিয়েছে নয়াদিল্লি। যদিও হিন্দুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা মানতেই চায়নি ইউনূসের সরকার। এবার সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়েও আপত্তি তাদের। তাহলে কি অনুপ্রবেশের নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশের প্রশাসনই? ভারত বিরোধী সন্ত্রাসীদের সুবিধা করতে দিতেই বাংলাদেশের আপত্তি? উঠছে প্রশ্ন।