
ইউনূসের বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রেও চরম অরাজকতা চলছে। যার নির্যাস, বাংলাদেশে এবার বড় আন্দোলনে নামছেন শিক্ষকরাও। একেবারে কমপ্লিট শাট ডাউনের পথে। স্তব্ধ করে দেওয়া হবে গোটা দেশ। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন শিক্ষকরা। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, ১ ডিসেম্বর থেকে দেশজুড়ে কমপ্লিট শাটডাউনে যাবেন তাঁরা। এমনকী ১১ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার অনশন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'কালের কণ্ঠ'-র খবর অনুযায়ী, বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের বক্তব্য, অনেক নীচের গ্রেডের পদও নবম গ্রেডে উন্নীতকরণ করা হয়েছে। কিন্তু ন্যায্যতা থাকা সত্ত্বেও শুধু দশম গ্রেডের সহকারী শিক্ষক পদটির কোনও নড়াচড়া নেই। তাঁর কথায়, 'আমরা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার হয়ে এসেছি। এর আগেও বেশ কয়েকবার এ জন্য আন্দোলন করেছি।' তবে এবার দাবি আদায় করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরবেন বলেও জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা।
ঠিক কেন শিক্ষকদের এই বিক্ষোভ?
বাংলাদেশের সরকারি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষকদের দাবি, তাঁদের বেতন ও গ্রেড স্কেলে দশম গ্রেড নয়, বরং নবম গ্রেডে হওয়া উচিত। অন্যান্য অনেক পদ, এমনকি কিছু নীচের গ্রেডও, সম্প্রতি নবম (বা উপযুক্ত) গ্রেডে উন্নীত হয়েছে, কিন্তু সহকারী শিক্ষক পদটিতে এই উন্নতি হয়নি। ফলে বৈষম্য তৈরি হয়েছে। তাই আন্দোলরত শিক্ষকদের বক্তব্য, শুধু বেতন নয়, তাঁরা চান, সহকারী শিক্ষক পদের এন্ট্রি গ্রেডথেকে নবম গ্রেড দিতে হবে, যাতে পদোন্নতি ও মর্যাদাভিত্তিক অসুবিধা না হয়। অন্য সরকারি পদ এবং এমনকি একই শিক্ষা ব্যবস্থার অন্যান্য কর্মকর্তারা গত দু বছর ধরে গ্রেড স্কেল উন্নীত হয়েছে। কিন্তু সহকারী শিক্ষক পদ এখনও আগের গ্রেডেই। ফলে অনগ্রগতির শিকার তাঁরা।
কী বলছেন শিক্ষকরা?
বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক শাহবউদ্দিন মাহমুদ সালমীর বক্তব্য, ‘আমরা চাই সহকারী শিক্ষক পদটি নবম গ্রেডে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারভুক্ত করে দ্রুত সময়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর গঠন করে গ্যাজেট প্রকাশ হোক। শিক্ষকদের পদগুলি ক্যাডারভুক্ত করলে আমরা অন্যান্য প্রশাসনিক পদে পদোন্নতির সুযোগ পাব।’
আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবিগুলি হল, বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার শূন্যপদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড মঞ্জুরি, ২০১৫ সালের আগের নিয়মে সহকারী শিক্ষকদের ৩/২ ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন সুবিধা বহাল করে গ্যাজেট প্রকাশ।