
বাংলাদেশ এখন নৈরাজ্যের বাংলাদেশ। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই চরম অরাজকতার সাক্ষী থেকেছে ঢাকা-সহ বাংলাদেশের একাধিক এলাকা। ভাঙচুর হয়েছে ছায়ানট, আগুন লাগানো হয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যমের অফিসে, সর্বোপরি খুন করা হচ্ছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের। এমন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির সঙ্গেও ঢাকার সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। এরমধ্যেই জানা যাচ্ছে নয়া তথ্য। বাংলাদেশে অশান্তির পিছনে আসলে রয়েছে ISI ও লস্কর-ই-তৈবার মতো পাকিস্তানি গোষ্ঠী। সূত্র মারফত একটি ভিডিও পেয়ে 'আজতক' এই দাবি করেছে।
'আজতক' এর তরফে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI ও জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার নেতা হাফিজ সঈদের মধ্যে হওয়া একটি কথোপকথনে এই বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রের কথা ফাঁস হয়েছে। প্রায় ৫ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের এই ভিডিওটিতে ভারতের বিরুদ্ধে একটি নতুন ফ্রন্ট খোলার কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সেই আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, হাফিজ সঈদ বাংলাদেশ হয়ে ভারতে হামলার পরিকল্পনা করছে। এই প্ল্যানের পার্ট হিসেবে তার বেশ কিছু সহযোগীকে বাংলাদেশে পাঠানোও হয়েছে। এদের মূল কাজ ছিল, জিহাদের নামে স্থানীয় যুবকদের উস্কে দেওয়া ও তাদের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া। দেখা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই সেই কাজ তারা শুরুও করেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য ভারতের পূর্ব সীমান্তে অস্থিরতা ছড়িয়ে দেওয়া।
এর আগে ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের খাইরপুর তামিভালিতে একটি জনসভায় লস্কর কমান্ডার সাইফুল্লা সাইফ খোলাখুলিভাবে দাবি করেছিল, "হাফিজ সঈদ অলস বসে নেই। সে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।" সেই বক্তব্যের একটি ভিডিও এখন সামনে এসেছে।
সেই ভিডিওতে সাইফুল্লা দাবি করেছে, "আমাদের লোকেরা পূর্ব পাকিস্তান, বাংলাদেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা ভারতকে জবাব দিতে প্রস্তুত।" সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, যে অনুষ্ঠানে এই ভাষণ দেওয়া হচ্ছিল, সেখানে ছোট বাচ্চারাও ছিল। ফলে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে, জঙ্গি সংগঠনগুলি এখন শিশুদেরও মৌলবাদী করার চেষ্টা করছে।