Advertisement

Dhakeshwari Temple Security: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যে কোনও মুহূর্তে হামলা হতে পারে, মুখ বাঁচাতে বড় অ্যাকশন নিল ইউনূস সরকার

বাংলাদেশে ছাত্রনেতা ওসমান হাদির হত্যার পর, ঢাকা সহ বেশ কয়েকটি শহরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। হাদিকে সমাহিত করা হয়েছে, কিন্তু উত্তেজনা এখনও রয়ে গেছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র উঠে এসেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে হাদির মৃত্যুর পরেও রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। হিন্দু যুবক দীপু দাসের হত্যাকাণ্ডও বাংলাদেশে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। আর এই আবহেই ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে কড়া নিরাপত্তা জালে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

 কড়া নিরাপত্তার জালে ঢাকেশ্বরী মন্দির কড়া নিরাপত্তার জালে ঢাকেশ্বরী মন্দির
আশুতোষ মিশ্র
  • ঢাকা,
  • 23 Dec 2025,
  • अपडेटेड 11:10 AM IST

বাংলাদেশে ছাত্রনেতা ওসমান হাদির হত্যার পর, ঢাকা সহ বেশ কয়েকটি শহরে হিংসা  ছড়িয়ে পড়ে। হাদিকে সমাহিত করা হয়েছে, কিন্তু উত্তেজনা এখনও রয়ে গেছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র উঠে এসেছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে হাদির মৃত্যুর পরেও রাজনৈতিক ও সামাজিক উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। হিন্দু যুবক দীপু দাসের হত্যাকাণ্ডও বাংলাদেশে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। আর এই আবহেই ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে কড়া নিরাপত্তা জালে মুড়ে ফেলা হয়েছে। 

হিন্দু ধর্মে শক্তিপীঠ মন্দিরগুলিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে, অনেক শক্তিপীঠ মন্দির কেবল ভারতেই নয়, বিদেশেও অবস্থিত। এর মধ্যে একটি হল বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত  এই ঢাকেশ্বরী দেবী মন্দির। এটি বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির। ঢাকেশ্বরী মানে ঢাকার দেবী। বিশ্বাস করা হয় যে বাংলাদেশের ঢাকা শহরের নামকরণ করা হয়েছে ঢাকেশ্বরী দেবীর নামে। এদিকে নির্বাচন এগিয়ে আসতেই ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। সোমবার রাতেও সংঘর্ষ এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠে এসেছে ঢাকা বিভাগের শরীয়তপুরে। বাংলাদেশের তরুণ নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে ফের উত্তাল হয়েছে ঢাকা-সহ বিভিন্ন এলাকা। ভাঙচুর, তাণ্ডব, অগ্নিসংযোগ— সবই হয়েছে। বাদ যায়নি ছায়ানট, উদীচীর মতো ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, এমনকি সংবাদপত্রের দফতরও। আর এই আবহেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে  সশস্ত্র পুলিশ দ্বারা ঘিরে রাখা হয়েছে। 

 প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চলমান অরাজক পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। সবচেয়ে বড় হুমকিতে রয়েছে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান এবং তাদের ধর্মীয় স্থানগুলি। যার মধ্যে রয়েছে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির।  গত বছর জুলাই মাস থেকে চরমপন্থীদের হুমকির মুখে রয়েছে এই মন্দির। অপ্রীতিকর ঘটনা এবং মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের রোধে মন্দিরটি সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। 

ঢাকেশ্বরী দেবীর বিশেষত্ব
বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী দেবী মন্দিরটি দেবী সতীর উদ্দেশ্যে নিবেদিত। এখানে অধিষ্ঠিত দেবীকে শক্তির প্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ভক্তরা তাকে মা ঢাকেশ্বরী বলে ডাকেন। দুর্গাপুজোর সময়, প্রচুর সংখ্যক ভক্ত দেবীর আশীর্বাদ পেতে মন্দিরে আসেন। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, সতীর মুকুটের রত্নটি এখানে পড়েছিল। ঢাকেশ্বরী দেবী মন্দিরকে ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই মন্দিরটি কেবল বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্যই নয়, বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ হিন্দুর জন্যও বিশ্বাসের একটি প্রধান কেন্দ্র। 

Advertisement

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাস
তথ্য অনুযায়ী, ঢাকেশ্বরী মন্দিরটি দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা বল্লাল সেন কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে, মন্দিরটিকে 'ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মন্দিরটি বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কিন্তু বারবার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। দেশভাগের সময় নিরাপত্তার কারণে প্রাচীন মূর্তিটি পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং এখন এর একটি প্রতিরূপ এখানে রয়েছে। এই মূর্তিতে দেবীকে মহিষাসুরমর্দিনী রূপে চিত্রিত করা হয়েছে, যার পাশে লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ এবং কার্তিকের মূর্তি রয়েছে। নবরাত্রী এবং অন্যান্য উৎসবের সময় এখানে বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যা হাজার হাজার ভক্তকে আকর্ষণ করে।

Read more!
Advertisement
Advertisement