
পদ্মাপাড়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। যিনি টলিউড ও বলিউডেও সমানভাবে জনপ্রিয়। তাঁর অভিনয় জায়গাতেই ভীষণভাবে প্রশংসিত। তাঁর মুক্ত কন্ঠে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ সকলেরই নজর কেড়েছে। তাঁর স্টাইল সব সময়ই নজর কাড়ে। তবে সর্বদা এমন ছিপছিপে গড়ন ছিল না বাঁধনের। ভাল রকম ওজন ছিল অভিনেত্রীর। আর সেই ওজন কমানোর সফর সম্প্রতি বাঁধন শেয়ার করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে।
বর্তমানে যে মেদহীন বাঁধনকে সবাই দেখছে, ৬ মাসে তাঁর ওজন ছিল প্রায় ৭৮ কেজি। আর সেখান থেকে ওজন কমিয়ে এখন ৬০ কেজিতে এসেছেন অভিনেত্রী। নিজের ৬ মাস আগের এবং ৬ মাস পরের ছবি শেয়ার করে আজমেরি হক বাঁধন লেখেন, ৭৮ কেজি থেকে ৬০ কেজি-আমি পেরেছি। এই সফর একেবারে সহজ ছিল না। মানসিক স্বাস্থ্যের লড়াই, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসে অভ্যস্ত, আর জিনগত বৈশিষ্ট্য, যার কারণে ওজন বাড়া ছিল খুবই সহজ—সবকিছু মিলিয়ে এই সংগ্রাম ছিল বাস্তব ও কঠিন। এরপর বাংলাদেশী নায়িকা লেখেন, ওজন কমানো আমার জন্য ওজন বাড়ানোর চেয়েও বেশি কঠিন ছিল। তবু সঠিক চিকিৎসা-পরামর্শ, শৃঙ্খলা এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে মাত্র ৬ মাসে আমি ১৮ কেজি ওজন কমাতে পেরেছি। আমার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল আমার মেয়ে। সে আমাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে উৎসাহ দিয়েছে, জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রেখেছে, আর প্রতিদিন নিঃশর্তভাবে আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। এটা শুধু ওজন কমানোর গল্প নয়—এটা সুস্থ হয়ে ওঠার, শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর এবং নিজের প্রতি সম্মান ফিরে পাওয়ার গল্প। কৃতজ্ঞ। আরও শক্তিশালী। এগিয়ে চলেছি।
বাঁধন তাঁর ওজন বাড়ার প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে তিনি হঠাৎ লক্ষ্য করেন যে তাঁর ওজন বেড়ে ৭৮ কেজি হয়ে গিয়েছে। ওজন বাড়ার কারণে চিন্তাও বাড়ে নায়িকার। এরপর সিদ্ধান্ত নেন, ওজন আর বাড়তে দেওয়া যাবে না। এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। শুরু হয় মিশন। সেই মিশনে মোটামুটি সফল হয়েছেন বাঁধন। তবে সময় লেগেছে ছয় মাস। ওই সময়টায় বাঁধনের ওজন ৬১ কেজি। যেকোনোভাবে ৬০ কেজিতে আনার লক্ষ্য ছিল। সেই মিশনে সফল হয়েছেন বাংলাদেশী নায়িকা। কিন্তু কেন ওজন বাড়ে বাঁধনের?
প্রথম আলোকে নায়িকা জানান মাঝে ৪ বছর একটি প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন তিনি। ২০২৪ সালে তা ভেঙে যায়। সেই বছরের অগাস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাঁকে বেশ সোচ্চার দেখা গিয়েছিল। এই দুই কারণে বাঁধন মানসিকভাবে হতাশ হয়ে পড়েন। আর তখন থেকেই তাঁর ওজন বাড়তে শুরু করে দেয়। তার ওপর বাঁধনের ওভার ইটিং ডিজঅর্ডার রয়েছে, যখন খান প্রচুর খেয়ে ফেলেন। আর এইসব করতে করতেই ওজন নিজের মতোই বেড়ে চলছিল। তবে এখন ওজন কমে ৬০ কেজিতে, নিজেকে আবার আগের মতো দেখে খুশি বাংলাদেশী নায়িকাও।