রবিবার খুনের মামলার অভিযোগে ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরত ফারিয়াকে। প্রথম আলো সূত্রে খবর, নুসরতের জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত মঙ্গলবার সকালে এই আদেশ দেয়। সোমবারই আদালতের পক্ষ থেকে নুসরতের ২২ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। রবিবার থাইল্যান্ড যাওয়ার সময়ই ঢাকার হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নুসরতকে প্রথমে আটক করে অভিবাসন দপ্তর। পরে তাঁকে ভাটারা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, নুসরতের আইনজীবী এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন। সেই আইনজীবী বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন যে নুসরত ফারিয়া জামিন চেয়ে মঙ্গলবার সকালে আদালতে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। নুসরতের জামিন শুনানির সময় আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, মামলায় উল্লেখিত ঘটনার সময় নুসরত দেশে ছিলেন না। এ বিষয়ে আইনজীবীরা আদালতের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
১দিন জেলে থাকার পরই মুক্তি পান নুসরত। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নুসরতকে জেলে পাঠিয়েছিল বাংলাদেশের আদালত। আর এর ঠিক এক দিনের মাথায় জামিন পেলেন 'ঢাকাই' সিনেমার নায়িকা নুসরত ফারিয়া। ইতিমধ্যেই নুসরতের গ্রেফতারি ঘিরে সরব হয়েছিলেন বাংলাদেশের বহু তারকাই। ইউনুস সরকারের নিন্দায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি শুরু হয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে সেই চাপেই ঢাকাই নায়িকাকে জামিন দিল বাংলাদেশ আদালত।
বাংলাদেশের পাশাপাশি নুসরত এই বাংলাতেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। অভিনয় করেছেন জিৎ-অঙ্কুশদের সঙ্গেও। নায়িকা শেখ হাসিনার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বায়োপিক মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন-এ। নুসরত ফারিয়ার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় করা একটি মামলা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল নুসরতের বিরুদ্ধে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ওই মামলায় তাঁর ওপর খুনের অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, এই মামলায় শুধুমাত্র ঢাকাতেই ২৫০০ মামলা দায়ের করা হয়েছিল।