বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম হলেন নুসরত ফারিয়া। ওপার বাংলার পাশাপাশি অভিনেত্রী এপার বাংলাতেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। একাধিক বাংলা ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। নুসরত তাঁর বোল্ডনেসের কারণে সবসময়ই চর্চায় থাকেন। অভিনয়ের পাশাপাশি নুসরত সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সক্রিয় থাকেন। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পেজে এসে নুসরত জানালেন যে তাঁর খুব বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
নুসরত তাঁর এই ভিডিওতেই জানিয়েছেন যে তিনি এখন গুজরাতের বরোদাতে রয়েছেন। এখানে তিনি কোনও একটি শ্যুটের জন্য এসেছেন। নুসরত তাঁর ভিডিওতে জানিয়েছেন যে বরোদারাতে এসে বিমানবন্দরে তাঁর লাগেজ হারিয়ে যায়। কীভাবে সেই লাগেজ হারায় সেটাই বলেছেন নুসরত। ভিডিওতে অভিনেত্রী বলেন, 'আমি এখন বরোদাতে রয়েছি। একটা কাজে এখানে এসেছি। আমি এসেছি বুধবার সকালে। আমি ঢাকা থেকে দিল্লি আর তারপর দিল্লি থেকে বরোদারাতে এসেছি। ঢাকা এয়ারপোর্টে যখন বিমান সংস্থার কর্মীরা আমার লাগেজ চেক করছিলেন তখন সব ঠিকঠাক ছিল, বোর্ডিং যখন করলাম তখন ভেবেছিলাম যে ডোমেস্টিকে লাগেজটা তুলে দিলে সেটা ঠিকঠাক জায়গায় চলে যাবে। আমি এবং আমার আরও দুজন টিমের সদস্য, সবাই আমরা একসঙ্গে দিল্লিতে ল্যান্ড করলাম, ইমিগ্রেশন ক্রস করে লাগেজ পিকআপ করলাম, করে আমরা ডোমেস্টিকে গেলাম, ওখানে আলাদা করে লাগেজটা দিতে হয় ওটাই নিয়ম। লাগেজ ড্রপ করার সময় কোনওভাবে ডমেস্টিকের বেল্ট কাজ করছিল না। ওই সময় ওখানে প্রচুর লোকের ভিড় ছিল, সবাই গরমে বিরক্ত হয়েছিল, লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল অনেকক্ষণ, আমিও খুব ক্লান্ত ছিলাম কারণ খুব ভোরে উঠতে হয়েছিল ফ্লাইট ধরার জন্য। একঘণ্টা পর বেল্ট কাজ করতে শুরু করল এবং অবশেষে আমরা আমাদের লাগেজ পেলাম।'
নুসরত এরপর আরও বলেন, 'লাগেজটা যখন ড্রপ করলাম তখন একটি নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের ট্যাগ লাগানো ছিল। আমার সঙ্গে যাঁরা ছিল তাঁরা তাঁদের লাগেজ ঠিকঠাক মতো নিয়ে নিল। আমার লাগেজও পেলাম আমি। এরপর আমি যখন দিল্লি থেকে ফ্লাইটে উঠলাম, এখানে এলাম লাগেজ নেওয়ার জন্য তখন দেখি আমার লাগেজ হাওয়া। আর জানেন আমার লাগেজ কোথায়? আমার লাগেজ তখন ভারতের অন্য কোনও শহরে। কারণ এয়ারলাইন্সের ওই মহিলা কর্মী আমার লাগেজে ভুল ট্যাগ লাগিয়ে দেয়। আর এই ভুল ট্যাগের জন্য আমার লাগেজ অন্য জায়গায় চলে যায়। এরপর টুইটারে বিমান সংস্থা টুইট করার পর আমি সেখানে জানাই যে ওটা আমারই লাগেজ। একটা শহর থেকে আর একটা শহরে আমার লাগেজ আছে ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পর। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আমি আমার লাগেজ পাই। এই ২৪ ঘণ্টা ধরে আমি বাথরোব পরে কাটিয়েছি। কারণ আমার কাছে কিছুই ছিল না। আমার কাছে ছিল না স্কিন কেয়ারের কোনও জিনিস, ছিল না কোনও ওষুধ। আমার জীবনে প্রথমবার এই ঘটনা ঘটল।' এরপরই নুসরত তাঁর ভক্তদের জন্য স্কিন কেয়ার রুটিন দেখাতেও শুরু করেন ভিডিওতে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নুসরত। সেই সময় তিনি হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন। বাংলাদেশের পাশাপাশি টলিউডের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন ফারিয়া। এর মধ্যে ‘আশিকি’, ‘বস ২’, ‘বিবাহ অভিযান’ অন্যতম। ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ ছবিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারিয়া।