বাংলাদেশী নায়িকা রাফিয়াত রশিদ মিথিলার আরও একটি পরিচয় হল তিনি টলিউডের পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী। যদিও সৃজিতের সঙ্গে মিথিলা এখন কলকাতায় থাকেন না। বহুদিনই তাঁর কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে পরিচালকও ব্যস্ত তাঁর আগামী ছবির শ্যুটিং নিয়ে। তারওপর টলিপাড়ার জোর গুঞ্জন নায়িকার সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব পাতিয়েছেন সৃজিত। আর এইসবের মাঝেই সুখবর শোনালেন মিথিলা। যা শেয়ার করলেন পরিচালক-স্বামী সৃজিত।
মঙ্গলবার মিথিলা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করে বলেন যে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। গর্বের সঙ্গে তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ল ডক্টর উপাধি। নিজের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজে মিথিলা এই খবরটি শেয়ার করেছেন। এই কৃতিত্বকে তিনি ৫ বছরের তিক্ত-মিষ্টি যাত্রা হিসাবে বর্ণনা করেছেন। সৃজিত-পত্নী বলেন, আমি আবেগপ্রবণ ও গর্বিত যে জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি আমার পিএইচডি থিসিস সফলভাবে শেষ করতে পেরেছি। এবার তিনি আর শুধু রাফিয়াত রশিদ মিথিলা নন, বরং ডক্টর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সৃজিত-পত্নী এই সাফল্য অর্জন করে দারুণভাবে খুশি তা বুঝিয়ে দিলেন।
স্ত্রী মিথিলার এই সাফল্যকে নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে নিয়ে নিয়েছেন সৃজিতও। স্ত্রীর এই সাফল্যে পরিচালক-স্বামীও যে খুশি তা বলাই বাহুল্য। মিথিলার করা এই পোস্ট সৃজিত নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করে লেখেন, ‘অবিশ্বাস্য অর্জন, আর একরাশ প্রশংসা!’ কিছু দিন আগে মিথিলার ও তাহাসানের মেয়ে আয়রা বিজ্ঞাপনের একটি পোস্টও শেয়ার করেছিলেন পরিচালক। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিয়ে করেন মিথিলা ও সৃজিত। মিথিলার এটা দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথম বিয়ে হয় বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা তথা গায়ক তাহসানের সঙ্গে। মিথিলার প্রথম পক্ষের সন্তানকেও সৃজিত মেয়ের মতোই ভালোবাসেন।
তবে গত এক-দেড় বছর ধরেই মিথিলা ও সৃজিতের সম্পর্কে চিড় ধরার খবর শোনা যাচ্ছিল। তাঁদের মধ্যে নাকি দুরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। এরপর মেয়েকে নিয়ে মিথিলার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার খবর সামনে আসতেই তা আগুনে ঘিয়ের কাজ করে। যদিও সৃজিত ও মিথিলা দুই পক্ষের কেউই এই নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে মিথিলার এই কৃতিত্ব নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন সৃজিত। তাহলে কি মান-অভিমান ভুলে এবার এবার কাছাকাছি আসবেন সৃজিত-মিথিলা?