দিল্লিতে জাল নথি বানিয়ে ৫ বাংলাদেশি নাগরিকের বসবাসের ঘটনার তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য হল পুলিশের হাতে। বনপথে বাংলাদেশিদের প্রথমে ভারতে অনুপ্রবেশে সাহায্য করা হত। তারপর তাদের হাতে তুলে দেওয়া হত জাল নথি, টাকা পয়সা। জানতে পারলেন তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দিল্লি পুলিশ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ৫ জন ছাড়াও বাকিরা জাল নথি বানাতে সাহায্য করত বলে অভিযোগ। সেই সিন্ডিকেটকে ইতিমধ্যেই ধ্বংস করেছে পুলিশ।
সিন্ডিকেট কীভাবে কাজ করত?
দিল্লি পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, নথি তৈরি করতে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট 'জনতা প্রিন্টস'-কে কাজে লাগানো হয়েছিল। এই ওয়েবসাইটটি ২০২২ সাল থেকে রজত মিশ্র নামে এক ব্যক্তি চালাচ্ছে। সে মাত্র ২০ টাকায় আধার কার্ড, ভোটার আইডি এবং প্যান কার্ডের মতো নথি প্রিন্ট করত। সেই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিত মুন্নি দেবী। তাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৪টি জাল ভোটার কার্ড, ২১টি আধার কার্ড এবং ৬টি প্যান কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে সিন্ডিকেটের পেছনে বাংলাদেশ যোগ পেয়েছে। বাংলাদেশেও ভারতের জাল ভোটার কার্ড তৈরি হত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই নিয়ে দিল্লি পুলিশ এখনই বিস্তারিত কোনও তথ্য দেয়নি।
পুলিশি তদন্তে আরও নানা তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বাংলাদেশি নাগরিকদের এই নেটওয়ার্ক শুধু জাল নথি তৈরিতেই নয়, অন্যান্য অপরাধেও জড়িত বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তদন্তের জাল গোটাতে দিল্লি এনসিআর-এ বাংলাদেশি অপরাধীদের আলাদা তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশ তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতেও বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।
শুধু দিল্লি নয়, পঞ্জাব, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা পুলিশের আধিকারিকরাও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে এই অভিযানে অংশ নিয়েছেন। উদ্দেশ্য বাংলাদেশী নাগরিকদের নেটওয়ার্ক এবং অপরাধমূলক কর্মকানণ্ডকে উৎখাত করা। বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে নিয়ে আসার রুট খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে।