মঙ্গলবার গ্রেফতার হলেন মইনুল আহসান নোবেল।এবার গ্রেফতার হলেন মইনুল আহসান নোবেল। যৌন হেনস্থা ও অপহরণের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বিতর্কিত গায়ক নোবেলকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। সেখানে তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগেও একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে নোবেলের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ঢাকা মেইল-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেমরা থানার পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে নোবেলকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় থানারই অন্তর্গত স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে। গায়কের বিরুদ্ধে এক কলেজ ছাত্রীকে ৭ মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। আদালতে যদিও নোবেলের আইনজীবী জানিয়েছেন যে অভিযোগকারিনী গায়কের স্ত্রী এবং তিনি ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। নোবেল নাকি অভিযোগকারিনীর সঙ্গে সংসার করতে চায়। তাঁরা আইনতভাবে স্বামী-স্ত্রী। নোবেলের আইনজীবী এও বলেন যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে অভিযোগকারিনী মামলা করেছে। যদিও আদালতে বিয়ের আইনত শংসাপত্র জমা দিতে পারেনি গায়কের আইনজীবী।
এ দিন বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট মাথায় হেলমেট পরিয়ে আদালতে আনা হয়েছিল নোবেলকে। আদালতে হাতকড়া খোলা হলেও তাঁর ডান হাত লোহার রেলিংয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। অন্য এক বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নোবেল জানান যে তাঁর গরম লাগছে। ওই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট যেন খুলে দেওয়া হয়। তবে পুলিশ তাঁর কথা মানতে রাজি নয়। সটান জানিয়ে দেন গরম লাগলেও এই জ্যাকেট খোলা যাবে না।
অভিযোগকারিনীর আইনজীবী জানিয়েছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পরিচয় হয়। তার পর ফোনে কথাবার্তা বলেন তাঁরা। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর তাঁরা দেখা করেন। তখনই নোবেল তাঁকে ডেমরার স্টুডিয়োয় নিয়ে যান। সেই আইনজীবী জানিয়েছেন, সেখানে ওই মহিলাকে আটকে রেখেছিলেন গায়ক। শুধু তাই নয় আরও ২/৩ জনকে নিয়ে এসে তাঁকে ধর্ষণ, মারধর করেন। এর পরেই গায়ককে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই মহিলা।
সারেগামাপা-তে অংশ নিয়ে নোবেল এপার বাংলাতেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। কিন্তু জয়ী হতে না পেরে তিনি বিচারকদের ওপর অভিযোগ আনেন। যার জেরে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাসপেন্ড করেছিল। মাদক সেবন থেকে একাধিক নারীতে আসক্ত সহ বহু অভিযোগই রয়েছে নোবেলের বিরুদ্ধে। বছর দুই আগেই নোবেল এক অনুষ্ঠানে গান গাইতে গিয়ে ভুলভাল আচরণ করেন। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালে সালসাবিল মাহমুদকে বিয়ে করলেও সেই বিয়েও টেকে না। নোবেলের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী সালসাবিল নির্যাতনের অভিযোগ আনে।