বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে। গত জুনেই এই ঘোষণা করেন সেদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। জাতির উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ইউনূস জানিয়েছিলেন যে, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে ভোটের জন্য একটি বিস্তারিত রোডম্যাপ দেবে। জানা যাচ্ছে বাংলাদেশে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব এ নিয়ে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকেই কর্মপরিকল্পনায় অনুমোদন দেয় কমিশন। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, কর্মপরিকল্পনার সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এখন শুধু তা ‘টাইপ’ করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সংসদীয় আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার বিষয়ে শুনানি বুধবার বিকেলেই শেষ হয়েছে। বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে ভোট হওয়ার কথা।
আজকেই কি ঘোষণা হবে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট?
এখন যেকোনও সময় এই নির্বাচনের রোডম্যাপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হতে পারে বলে ইসির আধিকারিকরা জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ‘কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে।’ এই অবস্থায় আজ ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইসি সূত্র জানাচ্ছে, রোড ম্যাপে সেপ্টেম্বর মাসে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করতে যাচ্ছে কমিশন। ইসির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মাসের শুরুতে নির্বাচন এবং ডিসেম্বর মাসে তপসিল ঘোষণা করবে ইসি। ঐ লক্ষ্য সামনে রেখে এ রোড ম্যাপ ঘোষণা করতে যাচ্ছে কমিশন। নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক কাজও চলছে। রোড ম্যাপে এসব কাজ কোন সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে সেই সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনে মানুষের শঙ্কা কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করছেন তারা। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবি গত কয়েক মাস ধরে ক্রমশ জোরালো হয়েছে। সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে সে দেশে।