সম্প্রতি একটি ছবিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাঁর স্ত্রী তথা ফার্স্ট লেডি মেলেনিয়া ট্রাম্প, মহম্মদ ইউনূস এবং তাঁর মেয়ে দিনা ইউনূসকে একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে। তাঁদের চোখেমুখে হাসি। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত UNGA-এর বার্ষিক রিসেপশনে এই ছবিটি তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, এই ছবি সামনে আসার পরই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। সকলেই মনে করছেন, এই ছবির মাধ্যমে দুই দেশের ভালো সম্পর্কের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি চেষ্টা করা হচ্ছে ভারতকে চাপে রাখার। এছাড়া আফগানিস্তান পরবর্তী সময় বাংলাদেশে নিজেদের গড় তৈরি করতেও আমেরিকা অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আমেরিকার গলাগলি নতুন কিছু নয়। বলা হয়, বাংলাদেশের মসনদে ইউনূসকে বসিয়ে রেখেছে আমেরিকা। সে দেশের ডিপ স্টেটের টাকাতেই বাংলাদেশে রক্তক্ষয়ী আন্দোলন হয়েছে। তারপর ক্ষমতায় এসেছে ইউনূস। আর এ সব কিছু এমনি এমনি করেনি ইউএস। পরিবর্তে বাংলাদেশের কাছে আনুগত্য চায় তাঁরা। সেই সঙ্গে ভারত সহ গোটা উপমহাদেশকে চাপে রাখতে দখল করতে চায় ওপার বাংলার কিছু বিমানবন্দর ও পোর্ট।
কিছুদিন ধরেই চলছে জল্পনা
বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দরে আমেরিকার এয়ারফোর্সের কয়েকটি সামরিক বিমান ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে। এমনকী সেখানে সেনা অফিসারদের যাতায়াতও শুরু হয়ে গিয়েছে। সেটা নিয়েই শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা।
এখানেই শেষ নয়, আমেরিকা যে বাংলাদেশের একটি নৌ-বন্দরে কব্জা করতে চাইছে, সেটাও বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। এর মাধ্যমেই আমেরিকা বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরে ছড়ি ঘোরানোর কৌশল খুঁজছে বলে দাবি।
এখনও তেমন কিছু সামনে আসেনি
যদিও এই বিষয়গুলি নিয়ে এখনও দুই দেশের কেউই মুখ খোলেনি। উল্টে এই ধরনের জল্পনাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে ইউএস-বাংলাদেশের এমন গলাগলিতে একবারেই স্বস্তিতে নেই ভারত। তাঁরাও যে কূটনৈতিক ভাবে নানা চাল ইতিমধ্যেই চালতে শুরু করে দিয়েছে, সেটা বলাই বাহুল্য! সেই সঙ্গে বাড়ানো হচ্ছে সামরিক শক্তি। তাই ইতিমধ্যেই আঁটসাটো করা হয়েছে চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করিডরের নিরাপত্তা। সেখানে ভারতীয় সেনার ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে। আধুনিকীকরণ চলছে পরিকাঠামোর। এছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজও চলছে জোরকদমে। অর্থাৎ সবদিক থেকে শত্রুপক্ষের থেকে এগিয়ে থাকতে চাইছে ভারত।