Advertisement

Bangladesh: বাউলহীন বাংলাদেশ: কট্টরপন্থীদের সামনে চুরমার হবে সুরের 'একতারা'?

আপাতদৃষ্টিতে এই আক্রমণের ঘটনাকে লঘু বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাউলদের জীবনবোধ, দর্শন অনুধাবন করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে ওই লোকসঙ্গীত শিল্পীদের উপর হামলা হয়তো পরিকল্পিত। কারণ, বাউল কেবল সঙ্গীত তো নয়, একটা যাপন।

বাংলাদেশে বাড়ছে বাউলদের উপর অত্য়াচার (ছবি - ITG)বাংলাদেশে বাড়ছে বাউলদের উপর অত্য়াচার (ছবি - ITG)
কেশবানন্দ ধর দুবে
  • দিল্লি ও ঢাকা ,
  • 17 Dec 2025,
  • अपडेटेड 3:43 PM IST
  • বাংলাদেশে কেন বাড়ছে বাউলদের উপর অত্য়াচার
  • এর পিছনে কি কোনও ষড়যন্ত্র আছে>

শিশুদের সামগ্রিক বিকাশের জন্য বাংলাদেশের স্কুলগুলোতে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছিল জামাত ই ইসলামির সঙ্গে সম্পর্কিত ধর্মীয় সংগঠনগুলো। চাপের মুখে পড়ে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয় মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। প্রতিবাদে বাংলাদেশের বাউল শিল্পী, ছাত্র ও স্বাধীনচেতা সংগঠনগুলো রাস্তায় নামে। ঢাকা-সহ নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভও শুরু হয়। জায়গায় জায়গায় সোচ্চার হন  বাউলরা। তখন তাদের উপরও আক্রমণ নেমে আসে। যদিও উগ্র ধর্মন্ধদের হাতে শিল্পীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রথম নয়। আফগানিস্তানেও একইভাবে তালিবানরা শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তখন স্কুল-কলেজে মেয়েদের যাওয়ার অধিকারও কেড়ে নিয়েছিল শাসক। কর্মক্ষেত্রে ও পাবলিস প্লেসে মেয়েদের যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। বাংলাদেশে বাউল শিল্পীদের উপর আক্রমণের ঘটনা, অনেকটা যেন সেই ঘটনারই প্রতিচ্ছবি। 

আপাতদৃষ্টিতে এই আক্রমণের ঘটনাকে লঘু বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাউলদের জীবনবোধ, দর্শন অনুধাবন করলে পরিষ্কার হয়ে যাবে ওই লোকসঙ্গীত শিল্পীদের উপর হামলা হয়তো পরিকল্পিত। কারণ, বাউল কেবল সঙ্গীত তো নয়, একটা যাপন। যারা বাউল হয়, তারা সমাজে থেকেও সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে চায়। আমি কে, জীবনের লক্ষ্য কী- এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে তারা। তাই সঙ্গীত তো তাদের কাছে একটা মাধ্যম মাত্র। 

বাউলদের উপর আক্রমণ মোটেও ভালোভাবে নেননি বাংলাদেশের বাউল-প্রেমীরা। এমনই একজন আব্দেল মান্নান। বাউল গবেষক ও  একাধিক বইয়ের লেখক ওই ব্যক্তি জানান, বাউলদের উপর আক্রমণ নতুন কোনও ঘটনা নয়। সেই ব্রিটিশ আমল থেকে এমন নির্যাতন চলে আসছে। তাঁর কথায়, 'বাংলাদেশে বাউল ফকিরদের উপর অত্যাচার নতুন কোনও ঘটনা নয়। ব্রিটিশ আমল থেকেই এমনটা হয়ে আসছে।' 

আরও পড়ুন

ইতিহাসও আব্দেল মান্নানের বক্তব্যের সাক্ষী দেয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক আগে থেকে ইংরেজরা বাউল-ফকিরদের উপর দমন-পীড়ণ শুরু করেছিল। ফলে তৎকালীন অখণ্ড ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলে সন্ন্যাসী বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে সেই আন্দোলন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। উত্তরবঙ্গে ও বিহারের বহু জায়গায় বিপদে পড়তে হয়েছিল ব্রিটিশ সরকারকে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্য়ায়ের আনন্দমঠ উপন্য়াসেও তার উল্লেখ আছে। আন্দোলনের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সেখানে জানানো হয়েছে, সন্ন্যাসী বিদ্রোহ দমনে বেগ পেতে হয়েছিল ইংরেজদের। 

Advertisement

একই আন্দোলনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে আব্দেল মানান আরও যোগ করেন, 'লালন ফকির আরও পরে এসেছিলেন। কিন্তু তার আগে থেকেই বাউল-ফকিররা লড়াই চালিয়ে আসছিলেন। আসলে ইংরেজরা চক্রান্ত করে ধর্মান্ধ মুসলমানদের মাধ্যমে ফকিরদের দমন করানোর চেষ্টা করেছিল। অনেক বাউলকে হত্যা করা হয়েছিল, গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পরও বাংলাদেশে সন্ন্যাসীদের পরিস্থিতির কখনও পরিবর্তন হয়নি।' বিএনপি, হাসিনা বা ইউনূস- সবার আমলেই বাউলরা  আক্রমণের মুখে পড়েছেন। তাদের ঐতিহ্যকে চূর্ণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে বর্তমান সরকার (মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) মৌলবাদীদের স্বাধীনতা দিয়েছে। বাউল নিয়ে একাধিক বইয়ের লেখক আব্দেল মান্নান বলেন,'বাউল-সন্ন্যাসীদের প্রকাশ্যে নির্যাতন করা হয়েছে। ইউনূস নিজেই আমেরিকা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মৌলবাদী শক্তিগুলি তার ইচ্ছামতো কাজ করছে। এরা চায় না যে দেশে বাউল ও ফকিরদের অস্তিত্ব থাকুক। বাংলাদেশে যে বাউল গায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি তো আল্লার কথা বলেছিবলেন। কুরআন থেকে বলেছিলেন। অথচ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন এই দেশে স্বাধীন ও মুক্ত মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ' 


বাংলাদেশের বাউলদের ভবিষ্যৎ কী? নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা কী করবে? এই প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আব্দেল মান্নান বলেন, 'আমরা সবসময়ই এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। সব সরকারের আমলে হয়েছে। বাউলরা এখনও টিকে আছে। যতই আক্রমণ হোক না কেন, বাউলদের দমানো যাবে না। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ এবং লড়াই করছি। রাস্তা থেকে আদালত পর্যন্ত লড়াই করব। এই সবকিছুর কারণ হল এখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মৌলবাদী মতাদর্শ। তারা চায় না, বাউল এবং ফকিররা এদেশে থাকুক। কিন্তু তা হবে না।' 

বাংলাদেশের ইতিহাস যদিও বলছে, বাউল শিল্পীরা প্রথম নয়, আগে লেখক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতারাও মৌলবাদী মতাদর্শের আক্রমণের মুখে পড়েছে।  বাংলাদেশ থেকে নির্বাসনের যন্ত্রণা এখনও তসলিমা নাসরিনকে তাড়া করে বেড়ায়। গত বছর, আজ তক-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে, তসলিমা নাসরিন জানিয়েছিলেন, 'ধর্ম দিয়ে  রাজনীতি খেলা চলছে। আমি ইসলামের সমালোচনা করেছিলাম, তাই মুসলিম মৌলবাদীরা আমার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল। একের পর এক ফতোয়া এবং সরকারের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আমাকে বাংলাদেশ ছেড়ে আসতে হয়েছিল।' 

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তসলিমা নাসরিন বলেন, 'পরিস্থিতি খুব খারাপ, খুবই খারাপ। শেখ হাসিনা মৌলবাদীদের হয়ে প্রচার করেছিলেন। তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তিনি বিএনপি ভেঙে দিয়েছিলেন এবং সেই অনুযায়ী নির্বাচন করেছিলেন। ধর্মের ব্যাপক প্রচার করিয়ে মৌলবাদীদের গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি আওয়ামি লিগের মধ্যেও মৌলবাদীদের একটি দল তৈরি করেছিলেন। তিনি আওয়ামি উলামা লিগ গঠনও করেছিলেন।  যা ইসলামিক ধর্মোপদেশ প্রদান করে থাকে।' 

বাংলাদেশে, জামায়াতে ইসলামি এবং হেফাজতে ইসলামের মতো সংগঠনগুলি সঙ্গীত এবং স্কুলে শিক্ষার বিরোধিতা করেছে। তারা স্কুলের পাঠ্যক্রম থেকে সঙ্গীত বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। স্বাধীন চিন্তাবিদরা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেও, জামাত এবং এর সহযোগীরা মূলত এর সমর্থন করে। সঙ্গীতপ্রেমীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়, যার ফলে অনেক বাউল ফকিরের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে, বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত বাউল আব্দুল সরকারকে মাদারিপুরে একটি সঙ্গীত অনুষ্ঠান করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দাঙ্গা, সহিংসতা উস্কে দেওয়া এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। 

জামাত বাংলাদেশে এই ধরণের বিষয় নিয়ে ক্রমাগত বিক্ষোভের মুখোমুখি হচ্ছে। ঢাকায় বাউলের ​​সমর্থনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপরই তৌহিদি জনতা সংগঠনের ছত্রছায়ায় জনতা বেশ কয়েকজন গায়ককে আক্রমণ করে। বাংলাদেশের মুক্তচিন্তকরা আশঙ্কা করছেন, যে এই নিষেধাজ্ঞাগুলি এখানেই থামবে না। নারী স্বাধীনতা ইতিমধ্যে মৌলবাদীদের চাপের মধ্যে রয়েছে। আগামী দিনে, সঙ্গীতের বাইরে, থিয়েটার, খেলাধুলা এবং চলচ্চিত্রের মতো সৃজনশীল ক্ষেত্রগুলিও প্রভাবিত হবে।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার, লালন ফকির ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের চেতনা প্রতিফলিত করে গান রচনা করলেও, আব্বাস আহমেদ আধুনিক লোকসঙ্গীতের ভাটিয়ালি, মারফতি এবং মুর্শিদীকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। তাদের গান আজও জনপ্রিয় দুই দেশেই। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে, বাউল সঙ্গীতকে বাউল দর্শন বলে মনে করা হয়।  গুরু-শিষ্য ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে বাউলের ​​যাত্রা এগিয়ে  চলে। অনুমান করা হয়,  লালন ফকির হাজার হাজার গান রচনা করেছেন এবং তাঁর শিষ্যরা সেই শিক্ষাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। মৌলিক মানবিক দিকগুলির পাশাপাশি,  গান রহস্য, যোগ এবং দর্শনের কথা বলে। 

প্রকৃতপক্ষে, বৈষ্ণব বা হিন্দু ঐতিহ্য থেকে আসা বাউল গায়করা বাউল হিসেবে এগিয়ে যান। তারা যোগ, ভক্তি, দর্শন এবং আধ্যাত্মিক অনুশীলনের কথা বলেন। প্রত্যেকেই মায়ার ফাঁদে আটকা পড়ে এবং পরমতা এবং মুক্তির সন্ধান একটি ধ্রুবক। তাদের নামের সাথে বাউল যোগ করা হয়েছে। এদিকে, এই দর্শনের অনুশীলনকারীরা যারা মুসলিম সম্প্রদায় থেকে এসেছেন বা সুফি পথ অনুসরণ করেন তাদের ফকির বলা হয়। তাদের দর্শনও একটি আত্ম-আবিষ্কার। গানগুলি প্রায়শই সামাজিক বৈষম্য, মায়া এবং উগ্র ধারণার উপর আলোকপাত করে।

বাংলাদেশের কুষ্টিয়া আশ্রমে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত লালন ফকির মেলা। বাউল সাধকদের তীর্থস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয় এই জায়গাকে। একটি বড় অংশ এটিকে লালন ফকিরের জন্মস্থান বলে মনে করে। লালন ফকিরের আখড়া কুষ্টিয়া জেলার ছেউরিয়া গ্রামে অবস্থিত। এখানকার ধর্মনিরপেক্ষ গানের সংস্কৃতি বৈষ্ণব এবং সুফি ইসলাম উভয়েরই মিলনস্থল। রূপক এবং প্রতীকের মাধ্যমে মানুষকে এই পৃথিবীতে তাদের অস্তিত্বের অর্থ শেখানো হয়। বাউল সাধকরা ধর্মীয় জট থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। ঊনবিংশ শতাব্দীতে বৃন্দাবন দাস পশ্চিমবঙ্গে চৈতন্য দেবের জীবনী লেখার সময় বাউল গান সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কৃষ্ণদাস কবিরাজও একটি জীবনী লিখেছিলেন। সমগ্র ঐতিহ্য ধর্মের বাইরে এবং গুরু-শিষ্য ঐতিহ্য অনুসরণ করে। বাউল আখড়াগুলি হল সেই জায়গা যেখানে তারা দলবদ্ধভাবে বাস করে। পুরুষ এবং মহিলা একসাথে থাকেন। পশ্চিমবঙ্গে, বীরভূম জেলার বোলপুরে প্রতি বছর একটি বাউল মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বীরভূম জয়দেব বাউল মেলায় হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন। বাংলাদেশ থেকেও শত শত মানুষ আসেন। আজকের বাউল এবং তাদের গানের কথা বলতে গেলে, পূর্ণ দাস বাউলকে তার ভক্ত এবং শিষ্যরা বাউল রাজা বলে ডাকেন। তিনি কেবল ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও বাউল সঙ্গীতকে এক অনন্য মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। পার্বতী বাউল এবং পাবনা দাস বাউলও সুপরিচিত। পূর্ণ দাস বাউলের ​​খায়াপা ব্যান্ড ইন্দো-পশ্চিমা সঙ্গীত তৈরি করেছে।

বোলেপুর ব্লুজ একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যান্ড। বাউল গানকে কার্তিক দাস এখানে বাউলের রূপ দিয়ে থাকেনষ। এই ব্যান্ডটি ঐতিহ্যবাহী বাউল মূল্যবোধের সাথে রক এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রগুলিকে সংযুক্ত করে নতুন কিছু তৈরি করে। তারা কেবল বাংলায় নয়, ইউরোপীয় দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও পরিবেশন করে। এই ঐতিহ্য, কেবল বাংলায় নয়, বাংলাদেশেও, কেবল তখনই টিকে থাকতে পারে যদি মুক্ত চিন্তাভাবনাকে অনুমতি দেওয়া হয় এবং বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয়। যদি একতারার উপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তবে এর সুতা ভেঙে যাবে। এই আশা নিয়ে, যেমন বাউলরা বলে, "জয় গুরু!" সঙ্গীতের এক আশ্চর্য মিশ্রণ তৈরি হয়েছে যা মানুষ বহু দশক ধরে শুনছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement