
বাংলাদেশে নিহত দীপুচন্দ্র দাস উস্কানিমূলক কোনও মন্তব্য করেছেন বলে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে খুন ও দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার তদন্তে এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বলেন, 'দীপু দাসের পরিবারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছে। আগামীকাল, বুধবার তাঁদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলব। রাজ্য বিজেপির তরফে প্রতি মাসে তাঁর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।' তিনি আরও জানান, 'অনেক পেটিএম নম্বর ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ সাহায্য করতে চাইলে, পরিবারের পক্ষ থেকে পাওয়া আসল পেটিএম নম্বরই ব্যবহার করা হবে। দীপু দাসের স্ত্রী ও বাবা-মাকে নিয়মিত মাসিক সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হবে। আমি সারা বিশ্বের হিন্দুদের কাছে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানাব।'
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস জানান, 'ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপুচন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।'
প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে ধৃতদের নামও প্রকাশ করা হয়েছে। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাত জন হলেন, মহম্মদ লিমন সরকার, মহম্মদ তারেক হোসেন, মহম্মদ মানিক মিয়া, এরশাদ আলি, নিজুম উদ্দীন, আলমগির হোসেন এবং মহম্মদ মিরাজ হোসেন আকন। পুলিশের হাতে গ্রেফতার তিন জন হলেন, মহম্মদ আজমল হাসান সগীর, শাহিন মিয়া এবং মহম্মদ নাজমুল।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লা আল মামুন জানিয়েছেন, ধৃত ১০ জনকেই ভালুকা থানায় পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।