
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাললিস্ট পার্টি (বিএনপি)-এর নেত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফিরছেন। তিনি বর্তমানে বিএনপি-এর কার্যকরী চেয়ারপার্সন হিসেবে কাজ করছেন। আর বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি ভোটার আগে তাঁর এই দেশে ফেরার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সেই দেশের জনগণ। কারণ, তিনি ২০০৭ সালের গ্রেফতারির পর থেকেই তিনি লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। আর এতবছর পর তিনি সেই আশ্রয় ছেড়ে ফিরছেন বাংলাদেশে।
তারেকের বাংলাদেশ ফেরা নিয়ে সরকারও যথেষ্ঠ তৎপরতা দেখাচ্ছে। তাঁকে ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে VVIP স্টেটাস। সেই সঙ্গে তাঁর সঙ্গে থাকবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স। এই বাহিনী তাঁকে নিরাপত্তা দেবে।
যতদূর খবর, তারেকের বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে অত্যন্ত খুশি বিএনপি-এর নেতা এবং সমর্থকেরা। তাদের একটা বড় অংশ তারেককে ঢাকায় ওয়েলকাম জানাতে উপস্থিত থাকবে বলেই জানা যাচ্ছে।
ও দিকে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার ডাঃ মহম্মদ ইউনূস তারেকের এই বাংলাদেশ ফেরার দিকে নজর রেখেছেন। তিনি নিজেই নিরাপত্তার দিকটা সুনিশ্চিত করেতে চাইছেন।
২০০৭-এর ফেরা
২০০৭ সালে শেখ হাসিনার সরকার তারেককে গ্রেফতার করে। প্রায় দেড় বছর পর তিনি ছাড়া পান। তারপর চিকিৎসার জন্য উড়ে যান লন্ডন। ২০১৬ সালে যখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়, তখন তারেককে পার্টির কার্যকরী সভাপতি করা হয়। তবে তিনি লন্ডনেই ছিলেন। যদিও ১৮ বছর পর বাংলাদেশে পা রাখতে চলেছেন তারেক। ফেব্রুয়ারির ভোটে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নতুন ভোটার আইডি
ইতিমধ্যেই তারেকের ঘরে ফেরার দিকটা সামলাতে শুরু করছে বাংলাদেশের সরকার। তাঁকে নতুন ভোটার আইডি কার্ড দেওয়া হবে ২৭ ডিসেম্বর।
বিএনপি মনে করছে, এই সময় তারেকের দেশে ফেরা তাদের দলকে অক্সিজেন দেবে। তারা ভোটের জন্য অনেকটাই এগিয়ে যাবে।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য
ও দিকে আবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তবে এই শরীর নিয়েই তিনি আগামী ভোটে লড়তে পারেন বলে খবর। সেই মর্মে তিনি নিজের নমিনেশনও জমা দিয়ে দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এমন পরিস্থিতিতে তারেকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে দল। তিনি এই ভোটে লড়াই করলে বিএনপির পক্ষে লড়াই বেশ সহজ হবে বলেই মনে করছে দলেরই একটা অংশ।