
বাংলাদেশে আবার সংখ্যালঘু নির্যাতন। এবার চট্টগ্রামে। সেখানকার রাওজান উপজেলার পশ্চিম বাণিকপাড়া এলাকায় জয়ন্তী সংঘের বাবু শুকুশিলের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
যতদূর খবর, কিছু দুষ্কৃতী বাড়িটি আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। যার ফলে বাড়ির ভিতরে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, বাড়ির ভিতরে থাকা পোষ্যও আগুনে পুড়ে গিয়েছে বলে খবর।
তবে এই হামলায় পরিবারের কোনও সদস্যের কোনও ক্ষতি হয়নি। তারা ঘটনার সময় পালিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে স্থানীয়দের পক্ষ থেকে।
এমন পরিস্থিতিতে আবার ঘটনাস্থলের কাছে হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে একটি হুমকি দেওয়া পোস্টারও পড়েছে। আর সেই পোস্টার ঘিরেও আবার শুরু হয়ে গিয়েছে টানাপোড়েন।
তবে এই ঘটনার পর থেকেই এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তারা এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বলেই খবর।
যদিও এই সবের মাঝেই হুমকি পোস্টার নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। সেই পোস্টারের লেখা বাক্য নিয়ে চলছে চর্চা।
কী লেখা হয়েছে পোস্টারে?
'এই এলাকায় সমস্ত হিন্দুদের বলা হচ্ছে যে আপনাদের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আপনাদের উপর ইসলামের বিরুদ্ধে এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নানাবিধ কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আপনাদের কার্যকলাপ ও সভা অবিলম্বে বন্ধ করতে বলা হচ্ছে। আপনারা এই নির্দেশ না মানলে কঠোর পরিণামের মুখোমুখি হতে হবে। আপনার বাড়ি, ব্যবসা ও সম্পত্তি রক্ষা করা হবে না।
কেউ আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না। এটি হল চূড়ান্ত সতর্কতা। এই পরিস্থিতিতে যে কোন প্রতিরোধের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।'
আর এই পোস্টার দেখেই এটা সহজেই বোঝা যায় যে তা লেখা হয়েছে হিন্দুদের বিরুদ্ধেই। একটু এদিক-ওদিক হলেই প্রাণে শেষ করে দেওয়ার হুমিক দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার পুলিশ এর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে কি না।
মাথায় রাখতে হবে, প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামে অস্থির অবস্থা চলছে। হিন্দুদের উপর হচ্ছে আক্রমণ। যদিও সেই সব হামলার কোনও সুরহা হয়নি বলেই অভিযোগ।
ওদিকে ছাত্রনেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে হিন্দুদের উপর চলেছে আক্রমণ। এমনকী দীপু দাস নামের এক হিন্দুকে প্রকাশ্যে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়েও চলছে বিক্ষোভ।