চিনাদের প্রেমের পথে কাঁটা জি জিনপিং! বাংলাদেশি তরুণীর প্রেমে পাগল হলেও প্রেসিডেন্টের কড়া নিদানের ভয়ে প্রপোজ করার সাহসটুকুই জোটাতে পারছেন না কোনও চিনা তরুণ। বিয়ে তো দূর অস্ত! কিন্তু আচমকা কেন এমন নীতি পুলিশগিরি শুরু করলেন জিনপিং?
রাজনৈতিক টানাপোড়েনে জর্জরিত বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের উপর অসন্তুষ্ট সেনা। এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশে অবস্থিত চিনা দূতাবাস সে দেশের নাগরিকদের জন্য কড়া এক নিদান জারি করেছে। জানানো হয়েছে, বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে সাবধান! তাঁদের সঙ্গে ডেটিং করতে হলেও দু'বার ভাবতে বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশি কারও সঙ্গে বিয়ের করার আগে চিনা নাগরিকদের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখার অ্যাডভাইসরি জারি করেছে দূতাবাস। এমনকী ডেটিং অ্যাপ থেকে বাংলাদেশি কারও সঙ্গে প্রেম হলেও সাবধান হয়ে পা ফেলতে বলা হয়েছে। কিংবা কেউ ঘটকালি করলে, সেই ঘটক অথবা ম্যাচমেকিং এজেন্সি সম্পর্কেও খোঁজখবর না নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে নিষেধ করা হচ্ছে। বিদেশি নাগরিকদের বিয়ের জন্য চিনের যে আইন, তা যথাযথ ভাবে মান্যতা দিতে বলা হয়েছে সেই অ্যাডভাইসরিতে। অগত্যা বাংলাদেশি মহিলার দু'চোখে হারিয়ে গেলেও তাঁকে প্রেম প্রস্তাব দেওয়ার আগে হোঁচট খাচ্ছেন চিনা পুরুষ। মাথার উপর ঝুলছে শি জিনপিংয়ের কড়া হুঁশিয়ারি!
এদিকে, ল্যাজে-গোবরে অবস্থা মুহাম্মদ ইউনূসের। একদিকে বাংলাদেশের সেনা, অন্যদিকে BNP, জামাতের মতো দলগুলির পক্ষ থেকে চাপ। 'পদত্যাগ নাটক' ধোপে টেকেনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা প্রধানের। গত অগাস্টে শেখ হাসিনার গা ঢাকা দিয়ে দিল্লি চলে আসার পর অস্থায়ী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেন ইউনূস। ৯ মাসের মধ্যেই অভিভাবকের উপর ভরসা হারাচ্ছে দেশ। সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের পর্যন্ত করিডর তৈরি নিয়ে। বাংলাদেশ থেকে মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ পাঠানোর স্বার্থে এই করিডর নির্মাণ করা হচ্ছিল। এই করিডর তৈরির মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ক্রমশই মায়ানমারের গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে, আশঙ্কা সেনাপ্রধানের।