হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে সরগরম ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারি নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের সেই বিবৃতির পর পরই বাংলাদেশের বিভিন্ন নেতার মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে। এই আবহে এবার ভারতের বিবৃতির কড়া সমোলাচনা করলেন ওপার বাংলার নেতা নাহিদ ইসলাম। চিন্ময়ের গ্রেফতারিতে ভারতের বিবৃতিকে 'অনুচিত হস্তক্ষেপ' বলে সরব হয়েছেন নাহিদ।
কয়েক মাস আগে বাংলাদেশে যে আন্দোলনের জেরে পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের, সেই আন্দোলনের অন্যতম হোতা ছিলেন নাহিদ। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে ইউনুসকে।
চিন্ময়ের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে ভারতের বিবৃতি নিয়ে নাহিদ বলেছেন, 'আমরা মনে করি, এ ধরনের বিবৃতি অনুচিত হস্তক্ষেপ। এতে মনে হচ্ছে, ভারত যেন পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে চাইছে। ভারতের উচিত, তাদের নিজেদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার ও নিরাপত্তার দিকে নজর দেওয়া।' এই প্রসঙ্গে নাহিদ আরও বলেছেন, 'ভারতকে আমরা আওয়ামী লীগের মিথ্যা অপপ্রচারে কান না দিয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাই।'
প্রসঙ্গত, সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসীকে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন না জানানোয় সন্ন্যাসীকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন সে দেশের হিন্দুদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, 'বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, যাতে হিন্দু-সহ সমস্ত সংখ্যালঘুর সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হয়।' হিন্দুদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথাও উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি।
হিন্দু সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসকন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে তারা। অবিলম্বে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মুক্তির দাবি জানিয়েছে ইসকন।