Advertisement

Hilsa Exports: বাংলাদেশ থেকে মাত্র ১৪৫ টন ইলিশ এল, কেন? আসল কারণটা জানুন

দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে ১,২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি থাকলেও ১৪৫ টন ইলিশ এসেছে। মাছ আমদানিকারকদের বক্তব্য, ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ রফতানি এ বছরই সবচেয়ে কম হয়েছে। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে এসেছে ১০৬ টন ইলিশ এবং আখাউড়া বন্দর দিয়ে এসেছে ৩৯ টন মাছ। যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

বাংলাদেশ থেকে এত কম ইলিশ  ভারতে অতীতে কখনো আসেনিবাংলাদেশ থেকে এত কম ইলিশ ভারতে অতীতে কখনো আসেনি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 08 Oct 2025,
  • अपडेटेड 3:41 PM IST

দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে ১,২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি থাকলেও ১৪৫ টন ইলিশ এসেছে। মাছ আমদানিকারকদের বক্তব্য, ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ রফতানি এ বছরই সবচেয়ে কম হয়েছে। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে এসেছে ১০৬ টন ইলিশ এবং আখাউড়া বন্দর দিয়ে এসেছে ৩৯ টন মাছ। যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

 ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল ও আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে ১৪৪ টন ৪৮৯ কেজি ইলিশ এসেছে। এর মধ্যে ত্রিপুরায় গেছে মাত্র ৩৯ টন ২৭৫ কেজি ইলিশ। বাংলাদেশ সরকার ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল। ৫ অক্টোবরের মধ্যে এই রফতানির কাজ শেষ করতে হবে বলা হলেও ৪ অক্টোবর রাত থেকে রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। শারদীয় দুর্গোৎসবের জন্য পাঁচ দিন সব বন্দর দিয়ে আমদানি–রফতানি বন্ধ ছিল। ফলে ইলিশ আমদানির জন্য ১৩ দিন সময় পাওয়া গিয়েছিল। গত বছর বাংলাদেশ থেকে রফতানি হয়েছিল ৫৩২ টন ইলিশ। 

 সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় বৈধ পথে বাংলাদেশের ইলিশ আর পশ্চিমবঙ্গে আসবে না। রাজ্যের মাছ আমদানিকারীদের সংগঠনের সভাপতি অতুল দাস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ইলিশ এ বার বিশেষ ধরা পড়ছে না। তার ধাক্কা লেগেছে রফতানিতে। তাঁর দাবি, রাজ্যের আমদানিকারী সংস্থাগুলি কিনতে প্রস্তুত থাকলেও ইলিশ দিতে পারেনি বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সরকারি সূত্রের খবর, এ বছর ৩৭টি প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিল। তবে মাত্র ১৬টি সংস্থা ইলিশ রফতানি করতে পেরেছে।

পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলছেন, ক্রেতাদের চাহিদা সত্ত্বেও তাঁদের হাতে ন্যায্য মূল্যে ইলিশ তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। ইলিশ আমদানির খরচ বেড়ে যাওয়ায় খুচরো বাজারে ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে ইলিশ বিক্রি করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে বিভিন্ন বাজারের মাছ ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশেও এবার ইলিশ কম ধরা পড়ায় সেখানকার বাজারেও দাম অনেক বেশি। ফলে রফতানিকারকেরাও বেশি দামে মাছ রফতানি করতে আগ্রহী হননি।

Advertisement

বাংলাদেশের বেসরকারি রফতানিকারক ও মাছ ব্যবসায়ী মহল বলছে, দেশের অভ্যন্তরে ইলিশের জোগান এ বছর তুলনামূলকভাবে কম। আবার অন্যদিকে, দেশের বাজারে ইলিশের দামও ছিল চড়া। ফলে রফতানিতে আগ্রহ কম দেখা যায়। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এবার  শুরু থেকেই ইলিশের দাম বেশি ছিল। গত বছরের তুলনায় আকারভেদে কেজিপ্রতি ২০০–১,০০০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দুর্গাপুজোর চাহিদা বৃদ্ধির কারণে নিষেধাজ্ঞার আগে কেজিপ্রতি ২০০–৪০০ টাকা বেশি দরে ইলিশ বিক্রি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বছর বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম ছিল। দাদন ব্যবসা, মধ্যস্বত্বভোগী এবং মজুদের কারণে খুচরো বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় রফতানিকারকরা অনুমতি পেলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ রফতানি করতে পারেননি। বাংলাদেশের মৎস্য অধিদফতর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ইলিশ রফতানি শুরু হয় ২০১৯–২০ অর্থবছরে। সর্বোচ্চ রফতানি হয়েছে ২০২০–২১ অর্থবছরে, মোট ১,৬৯৯ টন। সর্বনিম্ন রফতানি হয়েছিল ২০১৯–২০ অর্থবছরে, ৪৭৬ টন। 

চট্টগ্রামের কালুরঘাটভিত্তিক প্যাসিফিক সি ফুডস ৪০,০০০ কেজি রফতানির অনুমতি পেলেও মাত্র ১,৫৬০ কেজি রফতানি করতে পেরেছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আবদুল মান্নান মনে করেন, 'স্থানীয় বাজারে দাম অনেক বেশি ছিল। ভারতের বাজারে মায়ানমারের ইলিশের দাম বাংলাদেশের তুলনায় কম হওয়ায় তারা সেখান থেকে বেশি কিনেছে।' এদিকে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশে ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে, যা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement