
জোরালো ভূমিকম্পে পুরনো ঢাকায় প্রাণ হারালেন তিনজন। ঢাকা, নরসিংদী, গাজীপুরে অনেকে আহত হন।শুক্রবার ১০টা ৩৮ মিনিটে (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী) কেঁপে ওঠে বাংলাদেশ। উৎসস্থল নরসিংদী। সকাল ১০টা ১০ মিনিট (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) নাগাদ কাঁপে বাংলা, ত্রিপুরাও। উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে বেশি কম্পন অনুভূত হয়। কলকাতাতেও বেশ খানিকক্ষণ চলে কম্পন। যদিও ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, নিহতদের মধ্যে দু'জনের নাম ও পরিচয় জানা গেছে। একজনের নাম রাফিউল ইসলাম। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্র। নিহত আরেকজনের নাম সবুজ। তাঁর বয়স ৩০ বছর। ৮ বছরের একটি শিশুরও দেহ আনা হয়েছে। তবে তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
প্রথম আলো জানিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় পুরান ঢাকার কসাইটুলি এলাকার একটি বাড়ির রেলিং ধসে পড়ে। সেই সময় রাস্তা দিয়ে তিনজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ধসে যাওয়া রেলিংয়ের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে বহুতল থেকে নামতে গিয়ে দেড়শো'র বেশি শ্রমিক আহত হয়েছেন। তাঁরা শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভূমিকম্পে দেওয়াল ধসে ফাতেমা নামে ১০ মাসের এক শিশু নিহত হয়। শিশুটির মা কুলসুম বেগম সহ (৩০) দু'জন আহত।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্যজুড়ে সর্বত্র কম্পন অনুভূত হয়। আইএমডি জানায়, উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা, সল্টলেক, রাজারহাট ছাড়া অন্য জেলাগুলি মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ একাধিক জেলা কেঁপে ওঠে। উত্তরবঙ্গে সবচেয়ে বেশি কম্পন অনূভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৭।