বর্তমানে বাংলাদেশে রয়েছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। আর সেখানে বেশ ঝামেলার মধ্যে পড়েছেন অভিনেত্রী। পরিস্থিতি এমন তাতে যেকোন সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছিল, যার জন্য আগাম জামিনের আবেদন করেছেন মিথিলা।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় মিথিলার সাথে গ্রেফতার হতে পারেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী তাহসান রহমান খান ও শবনম ফারিয়াও। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধানমন্ডি থানায় তাহসান রহমান খান, রাফিয়া রশিদ মিথিলা, শবনম ফারিয়া, ইভ্যালির চেয়ারম্যান ও এমডিসহ মোট ৯ জনকে আসামি করে প্রতারণার মামলাটি করেন ইভ্যালির গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান, 'যেহেতু একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাই তারা আমাদের নজরদারিতে আছেন এবং যে কোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে।' পুলিশ জানিয়েছে, তাহসান, মিথিলা এবং অন্যান্য অভিযুক্তরা এই অভিযোগের দায় এড়াতে পারেন না। মামলাকারী সাদ স্যাম রহমান বলছেন, ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতারের পরপরই তিনি গুলশান ও ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করতে যান। কিন্তু, কোনো লাভ হয়নি। এরপর তিনি ঢাকার একটি আদালতে মামলা করেন, পরে আদালত ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়েরের আদেশ দেন।
জামিন চাইলেন মিথিলা
এদিকে এই মামলায় অভিযুক্ত রাফিয়াত রশিদ মিথিলা আগাম জামিন আবেদন করেছেন। মিথিলার একটি পারিবারিক সূত্র জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মিথিলার পাশাপাশি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন শবনম ফারিয়াও। রোবিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন জানানো হয়।
ঘটনায় তার নাম জড়ানোর পর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে মিথিলা বলেন, ‘ইভ্যালির কারণে আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এর কারণে আমার এত বড় সুনাম নষ্ট হলো। আমি এ বিষয়ে এখনও কোনো লিগ্যাল নোটিশ পাইনি। সুতরাং এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’ মিথিলা ইভ্যালির সঙ্গে ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটিতে শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যোগ দেন গত ১৫ মে। ওই দিন তাহসানসহ ইভ্যালির একটি বিশেষ লাইভেও অংশ নেন তিনি। এর দুই মাস পর তিনি চুক্তি বাতিল করেন।