
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুর পর থেকে তপ্ত বাংলাদেশ। ওই ঘটনার পরই হিন্দু যুবক দীপু দাসকে জ্যান্ত পুড়িয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। দেশে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। তবে শান্তি ফেরা দূর অস্ত। ফের খুনোখুনি সেই দেশে। এবার নতুন করে অশান্তিতে তপ্ত নোয়াখালি।
আজ মঙ্গলবার সকালে নোয়াখালির দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়, বোমা ছোড়ে। তার জেরে প্রাণ যায় ৫ জনের। বাংলাদেশ পুলিশের তরফে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই দেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদনে প্রকাশ, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি নিহতের সংখ্যা ৬। তা আরও বাড়তে পারে।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে আজ বিকেলে। নোয়াখালি জেনারেল হাসপাতালে মারা যায় আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। পুলিশ পরে চরে যায় ও ৪ন জনের দেহ উদ্ধার করে বলে খবর।
ঘটনার সূত্রপাত মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা জাগলার চরের খাসজমিকে ঘিরে। সেখানে কয়েক শো ভূমিহীন পরিবার বসবাস করে। সেই খাসজমি চড়া দামে ভূমিহীনদের বিক্রি করছিল একটি গোষ্ঠী। তার প্রতিবাদ অনেক দিন ধরেই করে আসছিল প্রতিপক্ষ গোষ্ঠী। তবে কথায় কাজ হয়নি। কয়েকদিন আগে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। এরইমধ্যে আজ ভোরে এক পক্ষের ২০-২৫ জন অস্ত্র-সহ হামলা চালায় চরে। তখন দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়।
ঘটনা নিয়ে স্থানীয় থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছে। জখম কমপক্ষে ১০। তাদের মধ্য়ে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহত ও জখমদের নাম-পরিচয় সংগ্রহ করা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।