বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও এল হিন্দু নির্যাতন। সে দেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়ে ভারতের উদ্বেগের কথা জানালেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছন বিদেশ সচিব। কুর্মিটোলার বিমানঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগ) ইশরাত জাহান। মিশ্রি জানান,'সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়েও ভারতের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছি। সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় স্থানে হামলা নিয়েও কথা হয়েছে'।
ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিচ্ছে মৌলবাদিরা। কলকাতা ৪ দিনের মধ্যে দখল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সে দেশের প্রাক্তন সেনা কর্তারা। বিএনপি নেতা তো এক কাঠি এগিয়ে বাংলা, বিহার ও ওডিশাও চেয়ে বসেছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশজুড়ে হিন্দুদের উপর চলছে অকথ্য অত্যাচার। সে সবের প্রভাব দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে যে পড়বে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিদেশ সচিব। তিনি বলেন,'বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ। অতীতেও তা ছিল। ভবিষ্যতেও তাই-ই থাকবে। যার মূল কেন্দ্র দুই দেশের সাধারণ মানুষের মঙ্গল। এই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কোনও কারণ নেই'।
তিনি যোগ করেন,'বাংলাদেশে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে, তা চালু থাকবে। বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ নিয়ে কথা হয়েছে। যা দুই দেশের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চাই'।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করছে মৌলবাদিরা।হিন্দুদের অধিকারের জন্য লড়তে গিয়ে গ্রেফতার হতে হয়েছে গেরুয়া বসনধারী সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসকে। তারপর বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার আরও বেড়েছে। ধর্মীয় স্থানগুলিতে চলেছে হামলা। চিন্ময় দাসের গ্রেফতারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলন ভারত। নয়াদিল্লি এক বিবৃতিতে জানায়, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে অপরাধীদের ধরার বদলে সংখ্যালঘু হিন্দুদের টার্গেট করা হচ্ছে। হিন্দু সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ।